TRENDING:

Earn Money: প্লাস্টিকের টব হাউইয়ের মতো উঠলেও, ফের বাজার ধরছে মাটির টব, কুম্ভকাররা কামাচ্ছেন ভাল টাকা

Last Updated:

Earthen Pot For Tree: মাটির এই জিনিস তৈরি করে লাভবান হচ্ছে কুম্ভকারেরা!

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পূর্ব মেদিনীপুর: কুম্ভকারেরা সারা বছর ধরে মাটির পাত্র এবং কলসি তৈরি করেন। তারা মাটি দিয়ে পুজোর জিনিসপত্র তৈরি করে।  পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কুম্ভকারেরা খুঁজে পেয়েছে মাটি দিয়ে তৈরি এই জিনিসের মাধ্যমে রোজগারের পথ। লাভ হচ্ছে ভালই। মাটির এই জিনিস তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছে তারা। দুর্গাপুজোর পর থেকেই সময় মাটির তৈরি এই জিনিসের চাহিদা থাকে ভালই। শীতকালে বহু মানুষ বিভিন্ন ধরনের মরশুমি ফুলের বাগান তৈরি করেন।
advertisement

ফুলের বাগান তৈরি করতে টবের প্রয়োজন হয়। আর বেশিরভাগ মানুষ বাগানের জন্য মাটির টব পছন্দ করেন। ফলে এই সময় কুমোর পাড়ায় মাটির টব তৈরির ব্যস্ততা চোখে পড়ার মত।

আরও পড়ুন – Alert: এল ঘূর্ণিঝড়ের ‘বাপ’,২৯৫ কিমি/ঘন্টা গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়ল Melissa, একটা দ্বীপের চেয়েও আকারে বড় ঘূর্ণিঝড়

বর্তমান সময়ে সব কিছুরই বিকল্প বেরিয়েছে। একটা সময় মাটির তৈরি বিভিন্ন জিনিস ব্যবহৃত হতো দৈনন্দিন কাজে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন ধাতুর পাশাপাশি প্লাস্টিকের নানান জিনিস ব্যবহৃত হয়, নিত্যদিনের প্রয়োজনে। সেই বিকল্পের ছোঁয়া ফুলের বাগান তৈরি করতেও। বাজারে বাগানের জন্য বিভিন্ন সাইজের প্লাস্টিকের টব পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের টব দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা যায়। প্লাস্টিকের টব মাটির তৈরি টবের প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও। ধীরে ধীরে মানুষ আবার মাটির টবে গাছ লাগানোর দিকেই ঝুঁকেছে।

advertisement

এর ফলে শেষ কয়েক বছর মাটির তৈরি টবের চাহিদা বাড়ছে।

নন্দকুমার এর দক্ষিণ ধলহরা গ্রামের কুমোর পাড়ায় এখন মাটির টব তৈরির ব্যস্ততা। বিভিন্ন সাইজের টব তৈরি হচ্ছে। ওই পাড়ার কুম্ভকার দুলাল চন্দ্র পাল জানান, “সারা বছর মাটির টবের চাহিদা থাকলেও মূলত অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকেই টবের চাহিদা প্রায় দ্বিগুনের চেয়েও বেশি হয়। তাই এই সময়টা মাটির অন্যান্য জিনিসপত্র বাদ দিয়ে শুধুমাত্র টব তৈরি করা হয়। বর্তমানে বিভিন্ন জিনিসপত্র দাম বাড়লে লভ্যাংশ কমলেও চাহিদা থাকায় মাটির টব তৈরিতে রোজগার হচ্ছে ভালই।”

advertisement

প্লাস্টিক টবে গাছ লাগানোর চেয়ে বহু মানুষ মাটির তৈরির টব বেছে নেয় বিজ্ঞানসম্মত কারণে। প্লাস্টিক টবের তুলনায় মাটির টবে গাছ লাগালে গাছের বৃদ্ধি সঠিক থাকে। তীব্র গরমে মাটি র টবে গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয় না। আবার মাটির টবের গাছ লাগিয়ে অতিরিক্ত জল দিলেও চিন্তা থাকে না। কিন্তু প্লাস্টিক টবে গাছ লাগালে রোদের তাপে দ্রুত উত্তপ্ত হয় টব এমনকি গাছের শিকড়ের ক্ষতি হয়।

advertisement

মাটির টব তাপ নিষ্কাশন করতে পারে। তাই মানুষ বাগান তৈরিতে মাটির টবকে বেছে নেয়। বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার কুম্ভকারেরা তাই দিনরাত এক করে মাটির টব তৈরি করছেন। মাটির টব তৈরির মাধ্যমে কুম্ভকারেরা খুঁজে পেয়েছেন রোজগারের নতুন পথ।ফলে শীতকাল শুরুর আগেই খুশির ঢেউ কুম্ভকার পাড়ায়।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
প্লাস্টিকের টব হাউইয়ের মতো উঠলেও, ফের বাজার ধরছে মাটির টব, হচ্ছে টাকা কামাই
আরও দেখুন

Saikat Shee

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Earn Money: প্লাস্টিকের টব হাউইয়ের মতো উঠলেও, ফের বাজার ধরছে মাটির টব, কুম্ভকাররা কামাচ্ছেন ভাল টাকা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল