TRENDING:

Durgapur News : এখনই চিন্তা করতে হবে না কৃষকদের! লকগেট বিপত্তিতে আশার আলো

Last Updated:

জলশূন্য দিন কাটানোর আশঙ্কা এখনই নেই দুর্গাপুরবাসীর। কৃষকদেরও এই মুহূর্তে জমি ডুবে যাওয়ার মত আশঙ্কা নেই।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : দুর্গাপুর ব্যারেজে লকগেট ভেঙে বিপত্তি। তাতেই চিন্তার ভাঁজ শহরবাসীর কপালে। চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরাও। কারণ আর কয়েক সপ্তাহ পরেই ধান উঠবে ঘরে। এসময় যদি হু হু করে জল বাড়তে থাকে, তাহলে মাঠেই নষ্ট হবে ফসল। কিন্তু সেই আশঙ্কা আদতে অনেকটাই কম। কারণ দুর্গাপুর ব্যারেজের যে লকগেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার ফলে ব্যারেজের মূল জলাধারের ওপর তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই সূত্রের খবর।
দুর্গাপুর ব্যারেজের সেচখালে এই লকগেটে বেঁকে গিয়ে বিপত্তি।
দুর্গাপুর ব্যারেজের সেচখালে এই লকগেটে বেঁকে গিয়ে বিপত্তি।
advertisement

স্বাভাবিকভাবে সেই একই কারণে জলশূন্য দিন কাটানোর আশঙ্কা এখনই নেই দুর্গাপুরবাসীর জন্য। কৃষকদেরও এই মুহূর্তে জমি ডুবে যাওয়ার মত আশঙ্কা করার কিছু নেই বলে মনে করছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। কিন্তু ব্যারেজের যে লকগেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাতে আশঙ্কা থাকারই কথা। তাহলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই কেন? এক্ষেত্রে, দুর্গাপুর ব্যারেজের গঠনশৈলীর জন্যই তেমন সমস্যা হবে না। কারণ, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে যে সেচখালটি বর্ধমানের দিকে গিয়েছে, সেই সেচ খালের একটি লকগেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু যে লকগেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তার আগে আরও একটি ধাপ রয়েছে লকগেটের। এটি সরাসরি ব্যারেজের মূল জলাধারের সঙ্গে সংযুক্ত। কিন্তু এই লকগেটের কোনও ক্ষতি হয়নি। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ধাপের লকগেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও, প্রথম ধাপের লকগেটে জল আটকে রাখা যাবে।

advertisement

আরও পড়ুন: Punjab National Bank-এ অ্যাকাউন্ট আছে? বন্ধ হয়ে যাবে যেকোনও সময়! বড় ক্ষতির আগে জানুন

কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত লকগেটটি যে অতি দ্রুত মেরামত করতে হবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ সেচখালের দিকে দুটি ধাপে লকগেট রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের লকগেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, যেমন প্রথম ধাপের লকগেটটি বিপদ থেকে রক্ষা করছে। তেমনভাবে প্রথম ধাপের লকগেট ক্ষতিগ্রস্ত হলে, দ্বিতীয় ধাপ রক্ষা করবে। কিন্তু যদি কোনও একটি লকগেট বেহাল অবস্থায় থাকে, তাতে অন্য লকগেটের উপর চাপ বাড়বে। তাই খুব দ্রুত লকগেট মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যে দাবি চলছে স্থানীয় মানুষ থেকে কৃষক সকলেই।

advertisement

View More

সেচ দফতর সূত্রে খবর, কৃষকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে বিগত কয়েক মাস ধরে সেচখালগুলিতে জল দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে পুজোর আগে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায়, টানা জল পেয়েছেন কৃষকরা। তবে ৩ নভেম্বর, শুক্রবার থেকে সেচখালগুলিতে জল দেওয়া বন্ধ করা হবে। এক্ষেত্রে যদি লকগেট থেকে হু-হু করে জলাধারের জল বেরিয়ে যেত, তাহলে কৃষকদের চিন্তা ছিল।

advertisement

আরও পড়ুন: রক্তের বন্ধনে জুড়ে গেলেন রোগী চিকিৎসকরা! রোগীদের রক্ত দিতে রক্তদান চিকিৎসকদের

তবে যেহেতু আরও একটি লকগেট প্রথম ধাপে রয়েছে, তাই সেই চিন্তা নেই। অন্যদিকে সেচ খালগুলিতে জল দেওয়া বন্ধ করা হবে। ফলে খুব দ্রুত বেহাল হয়ে পড়া লকগেটটি মেরামত করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। একইসঙ্গে কৃষকদের আশ্বস্ত করা হচ্ছে, এই বিপত্তির ফলে জমিগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা নেই। জলশূন্য অবস্থায় দিন কাটানোর আশঙ্কা এখনই নেই দুর্গাপুরবাসীর ক্ষেত্রেও।

advertisement

নয়ন ঘোষ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Durgapur News : এখনই চিন্তা করতে হবে না কৃষকদের! লকগেট বিপত্তিতে আশার আলো
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল