দুর্গাপুজোর প্রায় একমাস আগে থেকে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে এখানে৷ এবার তাঁদের পুজো ৪৭ তম বর্ষে পদার্পণ করছে। মণ্ডপ গড়ে উঠছে ১০০ ফুট চওড়া ও ৫০ ফুট উচ্চতায়। নিখুঁত কারুকার্যে ভরা ওই মণ্ডপ তৈরি করছেন মেদিনীপুরের শিল্পী রাজ কুমার গিরি। মণ্ডপ সাজান হয়েছে শত শত রাজস্থানি পুতুল দিয়ে।মণ্ডপ জুড়ে থাকছে নিপুন হাতের চোখ ধাঁধানো সুক্ষ কারুকার্য।
advertisement
আরও পড়ুন : মহাকালীর মহারূপ! ৪০ ফুট উচ্চতাও এবার অতীত, ভক্তদের সামনে এবার হাজির ৫১ ফুটের কালী, এখন থেকেই ভিড়
এবার মণ্ডপ চত্বর থেকে এলাকার রাস্তায় থাকছে অত্যাধুনিক আলোকসজ্জা। সবকিছু মিলিয়ে বিশালাকার মণ্ডপ দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে আশাবাদী পুজো উদ্যোক্তারা। পূর্বে আশা ভোঁসলে, সুখবিন্দর সিং থেকে গোবিন্দা, করিশ্মা কাপুরের মত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও এসেছেন এখানে। পুজোকে কেন্দ্র করে মণ্ডপ চত্বরের স্থায়ী মঞ্চে প্রতিদিনই অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুর্গাপুরে এই ক্লাব খেলাধুলো, সামাজিক কার্যকলাপ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিগ বাজেটের পুজোর আয়োজনেও শহরের বুকে নজির গড়েছে।
আরও পড়ুন : ঝুঁকে ঝাঁটা দেওয়ার দিন এবার অতীত, বাজার কাঁপাচ্ছে নতুন মডেল! ধনতেরসের দিনেই নিয়ে আসুন ঘরে
ওই ক্লাবের সদস্যরা সারাবছর কোনও না কোনও সামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত থাকেন। ১৯৭২ সালে এই ক্লাব প্রতিষ্ঠা হয়। ২০০০ সালে সোনু নিগম, সুনিধি চৌহান ও অভিজিৎ সহ একাধিক সুখ্যাত সঙ্গীত শিল্পীদের নিয়ে এসে দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে অনুষ্ঠান করেছেন। এছাড়াও ২০০১ সালে আশা ভোঁসলে, সুখবিন্দর সিং এসেছিলেন। ২০০৪ সালে গোবিন্দা ও করিশ্মা কাপুর এসেছিলেন তাঁদের উদ্যোগে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বহু বছর ধরেই সুখ্যাত শিল্পীদের নিয়ে তাঁরা অনুষ্ঠান করে আসছে। এই সবের মধ্যে থিমের পুজোয় ওই ক্লাব বরাবরই সেরা স্থান দখল করে আসছে। পুজো উদ্যোক্তা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ক্লাবে পুরুষ সদস্য ছাড়াও প্রায় ৬০ জন মহিলা সদস্য রয়েছে। সামাজিক কার্যকলাপ থেকে পুজোর সময় তাঁদের ভূমিকা থাকে উল্লেখযোগ্য।