এবছর এই পুজো ৪৯’তম বর্ষে পদার্পণ করে এক বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। মণ্ডপে মায়ের ২৫টি ভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তোলা হয়, যা দেখতে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় জমিয়েছিলেন। এই অভিনব ভাবনা স্থানীয়দের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে।
আরও পড়ুনঃ সার্বজনীন পুজোর মধ্যেও সাবেকিয়ানার ভরপুর ছোঁয়া! জমজমাট ডাকবাংলোর দুর্গাপুজো
advertisement
শুভ মুহূর্তে লাল পাড় সাদা শাড়ি পরিহিত মহিলারা মণ্ডপে ভিড় করেন। তাঁরা প্রথমে মা দুর্গার চরণ থেকে শুরু করে প্রতিমার সর্বাঙ্গে সিঁদুর লেপন করে তাঁকে শেষবারের মতো বরণ করে নেন। এরপর একে অপরের কপালে সিঁদুর পরিয়ে সৌভাগ্য ও শুভকামনা ভাগ করে নেওয়ার সেই দৃশ্য ছিল অত্যন্ত মনোগ্রাহী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সিঁদুর খেলার পর্ব শেষ হতেই শুরু হয় বিসর্জনের প্রস্তুতি। ঢাকের বাদ্যি আর উলু ধ্বনির মাঝে কলা বউ এবং পুজোর ঘট গঙ্গা নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে, দিনটি বৃহস্পতিবার হওয়ায় শুভ তিথি মেনে দেবী প্রতিমা আপাতত মণ্ডপেই রেখে দেওয়া হয়েছে। সজল চোখে মায়ের বিদায়ের সুরেই গঙ্গাসাগরের মানুষ আবার আগামী বছর মায়ের ফিরে আসার প্রতীক্ষা শুরু করলেন।