পুজো কমিটির কর্তা বলেন, থিম রাখা হয়েছে ‘রাভাংলা পরিব্রজ্যা’। যেখানে রাঢ় বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা উপাদান তুলে ধরা হয়েছে। ভার্চুয়ালি এই পুজোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টানা তিন মাস ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। মণ্ডপের সঙ্গে মানানসই করে রাখা হয়েছে প্রতিমা।
advertisement
পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম খ্যাতনামা ব্যক্তি মহানায়ক মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে মণ্ডপের পাশে তার বিভিন্ন ধরনের চলচ্চিত্রের ছবি তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া উত্তম কুমারের জন্মশতবর্ষে পুজোর একটি দিন জুড়ে তাঁরই সিনেমার বিভিন্ন গান বাজানোর পরিকল্পনা করেছেন উদ্যোক্তারা।
আরও পড়ুনঃ শতাব্দী প্রাচীন এক প্রথায় সেজে উঠছে হাওড়ার মহিলা পরিচালিত ‘এই’ মণ্ডপ, থিমের ভিড়ে মিস যেন না হয়
এই রীতি শুরু হয়েছিল বছর কয়েক আগে জয়নগরের ভূমিপূত্র হেমন্ত মুখোপাধ্যায়েয় জন্মশতবর্ষে। সে বার জয়নগর থানার তৎকালীন আইসি পুজো কমিটিগুলিকে প্রস্তাব দেন, পুজোর একটি দিন হেমন্তকে উৎসর্গ করে দিনভর তাঁর গান বাজানো হোক। সেই প্রস্তাব মেনে সপ্তমীর দিন হেমন্তের গান বাজে জয়নগর জুড়ে প্রতিটি মণ্ডপে। এ বার উত্তম কুমারের গানে মুখরিত হবে এলাকা। উত্তমকুমার বাঙালির অন্যতম সেরা আইকন। বাংলা বিদ্বেষী এই আবহে তাঁর গান বাজানোর থেকে ভাল আর কী হতে পারে।