অভাবনীয় পরিকল্পনা ও ব্যতিক্রমী অভিনবত্বের জন্য প্রায় প্রতিবছরই সেরা শিরোপা অর্জন করে ঊর্বশী। এবারেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলেই আশাবাদী পুজো কমিটি। মণ্ডপে পাঞ্জাবের পরিবেশ গড়ে তুলতে পাঞ্জাব থেকে আসছেন দক্ষ শিল্পীরা। ভাংরা নৃত্য সহ গান-বাজনায় তাঁরা পাঞ্জাবের একেবারে খাঁটি ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরবেন। মণ্ডপ সংলগ্ন মঞ্চেই বসবে সেই আসর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ৪০০০ টাকা দিয়ে শুরু, পুজোর আগে কলকাতা কাঁপায় ‘এই’ ব্যবসা! আয়ের নয়া দিশা দেখাচ্ছেন বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী
গত বছর রাজস্থানের থিম গড়ে তাক লাগিয়েছিল ঊর্বশী। তবে দর্শনার্থীদের জন্য এবারের আকর্ষণীয় থিম হতে চলেছে ‘একটুকরো পাঞ্জাব’। পুজোর বাজেট প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা। ওই থিমে পাঞ্জাবের ঐতিহ্যের মধ্যেই থাকবে সম্পূর্ণ সোনালি রঙের কারুকার্যে ভরা একটি বিশাল আকৃতির পুজো মণ্ডপ। তাঁদের থিম ও আলোকসজ্জা এই বছরও দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। চলতি বছর এই পুজো ২২তম বর্ষে পদার্পণ করতে চলছে। দুর্গাপুরের অন্যান্য বিগ বাজেটের পুজোগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঊর্বশীর থিমের মধ্যে থাকে অভিনবত্বের ছোঁয়া যা বরাবরই দর্শকদের মন জয় করে নেয়।
এবার মণ্ডপসজ্জা থেকে মণ্ডপ চত্বর সর্বত্র মিলবে পাঞ্জাবের স্বাদ। পুজো কমিটির সদস্য সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আমরা পুজোর মণ্ডপ সজ্জায় বারবার ভিনরাজ্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করি, দর্শনার্থীরা তাতে মুগ্ধ হন। সেই কারণে আমরা প্রায় প্রতিবছরই সেরার শিরোপা পেয়ে থাকি। পুজো কমিটির কনেভেনার দীলিপ কুমার ঘোষ ও কার্যকরী সভাপতি অমর মুখোপাধ্যায় বলেন, এবার পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পী মণ্ডপ গড়ছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্লাইউড দিয়ে মণ্ডপটি তৈরি করা হচ্ছে। মণ্ডপের অন্দরমহল জমজমাট কারুকার্যে পরিপূর্ণ। উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট, ১২০ ফুট স্থান জুড়ে প্যান্ডেল গড়ে উঠছে। পাঞ্জাবের নৃত্যকলা, সঙ্গীতশাস্ত্র ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে মণ্ডপ চত্বরে। এছাড়া প্রতিদিনই বাউল, লোকগীতি সহ বাংলা গানের অনুষ্ঠান হবে। পুজোর নবমীতে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বাঙালির এই শ্রেষ্ঠ উৎসবে প্রতিবছরের মতো এই বছরও কিছু দুঃস্থ মানুষদের বস্ত্রদান করা হবে।