৪০০০ টাকা দিয়ে শুরু, পুজোর আগে কলকাতা কাঁপায় 'এই' ব্যবসা! আয়ের নয়া দিশা দেখাচ্ছেন বাঁকুড়ার ব্যবসায়ী

<strong>বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ</strong> উৎসবের মরশুম চলে এসেছে। এবার সন্ধ্যেবেলায় অন্ধকার থাকবে না বাংলা। দেখা যাবে আলোর ঝলকানি। সেই কারণে এখন রমরমিয়ে চলবে আলোর ব্যবসা। বাঁকুড়ার এক ছেলে এমনটাই করছেন।

বাঁকুড়ার ছেলে বলে কলকাতায় ব্যবসার মাল নিতে গিয়ে অবহেলিত হতে হয়েছিল বাবলুকে। পুজোর আগে সেই কলকাতাতেই বিক্রি হচ্ছে বাবলুর তৈরি প্রোডাক্ট। আট বছর আগে ইলেকট্রিক্যাল জিনিসের ব্যবসা শুরু করেছিলেন বাঁকুড়ার বাবলু গড়াই। (ছবি ও তথ্যঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

একদিন বাঁকুড়ার ছেলে বলে তাঁকে অবহেলিত হতে হয়েছিল কলকাতায়। শুনতে হয়েছিল, "বাঁকুড়ার ছেলেরা পারে না।" মনে জেদ নিয়ে ফিরে আসেন বাবলু। মাত্র ৪০০০ টাকা দিয়ে পুরোদমে ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে বাবলু প্রায় চল্লিশটি ইলেকট্রিক্যাল প্রোডাক্ট বিক্রি করেন। ম্যানুফ্যাকচারিং করেন বেশ কিছু প্রোডাক্ট। (ছবি ও তথ্যঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

বাঁকুড়ায় মানুষের জন্য তৈরি করেছেন কর্মসংস্থান। একদিন কলকাতা তাঁকে বঞ্চিত করেছিল, এখন সেখানেই পুরো দামে বিক্রি হয় বাঁকুড়ার বাবলু গড়াইয়ের ইলেকট্রিক্যাল প্রোডাক্ট। (ছবি ও তথ্যঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

মোমবাতির মতো দেখতে লাইট সাজানো রয়েছে একের পর এক। দুর্গাপুজো, দীপাবলির রাতে এবং কালী পুজোয় এই আলো বাড়ির শোভা বাড়াবে। সবই হোলসেলে বিক্রি করে থাকেন বাবলু। এছাড়াও এক্সটেনশন কর্ড তৈরি এবং পাখা অ্যাসেমবেল করেন বাঁকুড়ার এই ব্যবসায়ী। সারা বছরই থাকে প্রোডাক্ট তৈরি এবং বিক্রি করার ব্যস্ততা। (ছবি ও তথ্যঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)

বাবলু গড়াই জানান, "আমার মতো চাইলে অনেকেই ব্যবসা করতে পারেন। তাঁদের শুধু একটু এগিয়ে আসতে হবে। একটু একটু করে সাহস নিয়ে ব্যবসা করলে মার্কেট দাঁড়িয়ে যাবে।" (ছবি ও তথ্যঃ নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়)