প্রতিবছরই তারা জেলার জনপ্রিয় পুজো হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বহুবার জেলার সেরা পুজোর শিরোপা ছিনিয়ে এনেছে এই ক্লাব। শুধু পূর্ব মেদিনীপুর নয়, পাশ্ববর্তী জেলা থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী তাদের মণ্ডপে ভিড় জমান। এ বছরের থিম ‘সতীর একান্ন পীঠ’ নিঃসন্দেহে দর্শনার্থীদের মধ্যে বাড়তি কৌতূহল সৃষ্টি করেছে। হিন্দু পুরাণে সতীর একান্ন পীঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বহন করে। সেই আধ্যাত্মিক আবহকে পরিবেশ বান্ধব উপকরণের মাধ্যমে শিল্পের ছোঁয়ায় তুলে ধরতে চলেছেন শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : গীতা রানীর অবসর কাটে পুতুলে! মাটির ছোঁয়ায় তৈরি একের পর এক মাস্টারপিস
কাঠ, বাঁশ, মাটি, কাপড়, বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হচ্ছে মণ্ডপ। মণ্ডপের ভেতরে সতীর বিভিন্ন পীঠস্থানের প্রতীকী রূপ ফুটে উঠবে, যাতে দর্শনার্থীরা প্রবেশ করেই অনুভব করতে পারেন ধর্মীয় আবহ ও শিল্পকলার মেলবন্ধন। প্রতিমা তৈরি হচ্ছে মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। মৃন্ময়ী রূপে দেবী দুর্গাকে সাজানো হচ্ছে এক অনন্য আঙ্গিকে, যা থিমের সঙ্গে পুরোপুরি মানানসই। প্রতিমার রূপে যেমন রয়েছে সৌন্দর্যের ছোঁয়া, তেমনই রয়েছে ভক্তি ও আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন।
আরও পড়ুন : ‘বাচ্চা স্কুলে গিয়েছে তো?’, অভিভাবকদের চিন্তার অবসান ঘটিয়ে এই সরকারি স্কুলে চালু হল ‘বিশেষ ব্যবস্থা’
শিল্পীরা দিনরাত এক করে কাজ করছেন যাতে সময়মত দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপ খুলে দেওয়া যায়। এবারের পুজোর রয়েছে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। সেই অনুযায়ী মণ্ডপ, প্রতিমা, আলোকসজ্জা ও অন্যান্য আয়োজনকে আরও জাঁকজমকপূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। পুজোর সময় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্থানীয় মানুষদের পাশাপাশি বাইরের জেলার দর্শনার্থীদের ভিড়ও এবছর উপচে পড়বে বলেই আশা আয়োজকদের। আধ্যাত্মিকতা, শিল্পকলা ও পরিবেশ সচেতনতার মিশেলে তৈরি এই থিম পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গোৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলবে। তাই এবারের পটাশপুরের পুজো নিঃসন্দেহে এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে।