কথায় আছে, বুদ্ধি থাকলে সবই হয়। কোনও কিছুই আর বাধা হয়ে দাঁড়ায় না। এবার বুদ্ধি খাটিয়ে প্রতিকূলতাকেই করা হল থিম! এবার পুজোয় নজির গড়তে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমার দাসপুর দুই নম্বর ব্লকের কিসমত খানজাপুর সর্বজনীন পুজো কমিটি। তাঁদের এই বছরের থিম নৌকাবিহার। এই জমে থাকা জলের উপর তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। তার পাড়ে মা আসছেন নৌকাবিহারে। অপূর্ব এই ভাবনা ফুটিয়ে তুলতে শেষ মুহূর্তের তোড়জোড় চলছে।
advertisement
লাগাতার প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বৃষ্টি, বন্যার কারণে সব জল শেষ পর্যন্ত শুকোয়নি। তবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব কি আর এইটুকু কারণে বন্ধ হয়? এবার তাই জলের উপরেই তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু। সেতুর ওপারে নদীর উপর রয়েছে নৌকা। তার উপরেই আস্ত প্যান্ডেল।
দূর থেকে দেখলে মনে হবে, সেতুর উপর পালতোলা নৌকায় দেবী দুর্গা সপরিবারে নৌকাবিহারে করছেন। এমন ভাবনাকে ধন্য ধন্য করছেন দূরদূরান্তের মানুষ। জানা যাচ্ছে, এখন থেকেই মণ্ডপ দেখতে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে পুজো কমিটিকে ফোন করছেন, রুট জিজ্ঞেস করছেন বহু মানুষ।
পুজো কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসী তন্ময় দোলুইয়ের কথায়, এই বছর তাঁদের পুজো ১৫তম বছরে পদার্পণ করল। এই বছরের থিম নৌকাবিহার। বাজেট প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কথায় আছে, মা সবার ইচ্ছে পূরণ করেন। ঠিক যেন তাই হল। এতদিন যে জল কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল, সেই জলই মাতৃ আরাধনার থিমকে সহযোগিতা করল। এখন অনেকে বলছেন, জল না জমলে নৌকাবিহার থিম ফোটানো যেত না! মনে পড়ে যায় কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের ‘মেঘ-কাদম্বিনী’ লাইন, ‘মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে’।





