বয়স পেরিয়েছে ৫০০ বছর! গোরাতলার পবিত্র বটগাছের ইতিহাস আজও অনেকের অজানা, নামকরণের সঙ্গেও জড়িয়ে বিশেষ কাহিনী

Last Updated:
Hasnabad Goratala Banyan Tree: এই বটগাছের তলাতেই রয়েছে এক পীরের মাজার। কথিত আছে, পীর গোরাচাঁদ ধর্ম প্রচারের জন্য এই অঞ্চল পরিভ্রমণকালে এই গাছের নীচে সাধনা করেছিলেন। সেই সময় থেকেই জায়গাটির নাম হয় গোরাতলা
1/6
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদের রামেশ্বরপুর গ্রামে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে এক বিশাল প্রাচীন বটগাছ। স্থানীয়ভাবে এটি গোরাতলার বটগাছ নামে পরিচিত। আকাশ ছুঁতে চাওয়া এই বৃক্ষ কেবল প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি নয়। বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু শতাব্দীর ইতিহাস, কিংবদন্তি ও বিশ্বাস। (ছবি ও তথ্যঃ জুলফিকার মোল্যা)
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদের রামেশ্বরপুর গ্রামে প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে এক বিশাল প্রাচীন বটগাছ। স্থানীয়ভাবে এটি গোরাতলার বটগাছ নামে পরিচিত। আকাশ ছুঁতে চাওয়া এই বৃক্ষ কেবল প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি নয়। বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু শতাব্দীর ইতিহাস, কিংবদন্তি ও বিশ্বাস। (ছবি ও তথ্যঃ জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
2/6
প্রায় পাঁচ শতাধিক বছরের পুরনো এই বটগাছ আজও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে অটলভাবে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে ঝড়-বৃষ্টি, অন্যদিকে সময়ের ক্ষয়-সবকিছুকে উপেক্ষা করে এর বিস্তার ক্রমেই বেড়েছে। সাধারণত বটগাছের মৃত্যু হয় না। বরং গাছের ঝুরি থেকে নতুন ডালপালা গজিয়ে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রায় পাঁচ শতাধিক বছরের পুরনো এই বটগাছ আজও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে অটলভাবে দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে ঝড়-বৃষ্টি, অন্যদিকে সময়ের ক্ষয়-সবকিছুকে উপেক্ষা করে এর বিস্তার ক্রমেই বেড়েছে। সাধারণত বটগাছের মৃত্যু হয় না। বরং গাছের ঝুরি থেকে নতুন ডালপালা গজিয়ে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়তে থাকে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
advertisement
3/6
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই বটগাছ প্রায় ছিয়াশি শতক জমির উপর বিস্তার লাভ করেছে। এক সময় এটি ছিল গ্রামের মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কেন্দ্র। মানুষ এখানে প্রার্থনা করত, অনেকে শীতের দিনে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতেও আসতেন। আজও রামেশ্বরপুর বেড়াতে গেলে স্থানীয় ও বাইরের মানুষদের এই বটতলায় ভিড় জমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই বটগাছ প্রায় ছিয়াশি শতক জমির উপর বিস্তার লাভ করেছে। এক সময় এটি ছিল গ্রামের মানুষের আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কেন্দ্র। মানুষ এখানে প্রার্থনা করত, অনেকে শীতের দিনে পরিবার নিয়ে পিকনিক করতেও আসতেন। আজও রামেশ্বরপুর বেড়াতে গেলে স্থানীয় ও বাইরের মানুষদের এই বটতলায় ভিড় জমে।
advertisement
4/6
এই বটগাছের তলাতেই রয়েছে এক পীরের মাজার। কথিত আছে, পীর গোরাচাঁদ ধর্ম প্রচারের জন্য এই অঞ্চল পরিভ্রমণকালে এই গাছের নীচে সাধনা করেছিলেন। সেই সময় থেকেই জায়গাটির নাম হয় গোরাতলা। ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্থানীয় লোককথার মিশ্রণে এই বটতলা গ্রামবাসীর কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।
এই বটগাছের তলাতেই রয়েছে এক পীরের মাজার। কথিত আছে, পীর গোরাচাঁদ ধর্ম প্রচারের জন্য এই অঞ্চল পরিভ্রমণকালে এই গাছের নীচে সাধনা করেছিলেন। সেই সময় থেকেই জায়গাটির নাম হয় গোরাতলা। ধর্মীয় বিশ্বাস ও স্থানীয় লোককথার মিশ্রণে এই বটতলা গ্রামবাসীর কাছে পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত।
advertisement
5/6
এলাকার প্রবীণরা বলেন, এই বটগাছের মূল কান্ড কোথায় অবস্থিত তাঁদের পূর্বপুরুষরাও জানতেন না। কারণ ঝুরি থেকে ঝুরি জন্মে ক্রমে গাছটির বিস্তার এমন হয়েছে যে মূল গুঁড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে কেবল গল্প হয়ে রয়েছে এই প্রাচীন বটগাছের ইতিহাস।
এলাকার প্রবীণরা বলেন, এই বটগাছের মূল কান্ড কোথায় অবস্থিত তাঁদের পূর্বপুরুষরাও জানতেন না। কারণ ঝুরি থেকে ঝুরি জন্মে ক্রমে গাছটির বিস্তার এমন হয়েছে যে মূল গুঁড়ি খুঁজে পাওয়া যায় না। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে কেবল গল্প হয়ে রয়েছে এই প্রাচীন বটগাছের ইতিহাস।
advertisement
6/6
আজও গোরাতলার বটগাছ কেবল প্রকৃতির প্রতীক নয়, এটি হাসনাবাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। বহু রহস্যে ঘেরা এই বৃক্ষ স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভক্তি ও স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। শতাব্দী পেরিয়েও তাই এই বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে, হয়ে উঠেছে ইতিহাস ও প্রকৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী। (ছবি ও তথ্যঃ জুলফিকার মোল্যা)
আজও গোরাতলার বটগাছ কেবল প্রকৃতির প্রতীক নয়, এটি হাসনাবাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। বহু রহস্যে ঘেরা এই বৃক্ষ স্থানীয়দের বিশ্বাস, ভক্তি ও স্মৃতির সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে। শতাব্দী পেরিয়েও তাই এই বটগাছ দাঁড়িয়ে আছে, হয়ে উঠেছে ইতিহাস ও প্রকৃতির এক জীবন্ত সাক্ষী। (ছবি ও তথ্যঃ জুলফিকার মোল্যা)
advertisement
advertisement
advertisement