এ বিশ্বকে বাসযোগ্য করতে হলে প্লাস্টিক দূষণ কমাতেই হবে। পশুপাখি বা মাছ খাবার ভেবে বা খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে। তার ফলে মৃত্যু হয়। আবার তাদের থেকে খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের শরীরে ঢুকছে প্লাস্টিকের বিষ। পুজো উদ্যোক্তা সুব্রত মণ্ডল জানান, ‘প্লাস্টিকের অপব্যবহারের ফলে গোটা জীবজগৎ আজ বিপন্ন। প্লাস্টিক দূষণের নিয়ন্ত্রণের জন্যই আমরা এই ধরনের থিম বানিয়েছি’।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উমার বিদায়বেলায় বিষাদের নয়, উৎসবের সুর রাজ্যের এক প্রান্তে! হৈমবতীর আগমনের শুভ সূচনা দশমীতেই
অপচনশীল প্লাস্টিকের ভারে আজ বিপন্ন মানব সমাজ। যে প্লাস্টিক মানব কল্যাণ ও মানুষের সুবিধায় বহুল ব্যবহৃত হয়েছিল তা আজ পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীকুলের কাছে অশনি সংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবী আজ প্লাস্টিকের ভারে ওষ্ঠাগত। তাই প্লাস্টিক মুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই মা দুর্গার কাছে এই পুজো কমিটি আবেদন জানিয়েছে। এর পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিয়েছে এই পুজো কমিটি। গোটা মণ্ডপ জুড়েই সেই চিত্রকে তুলে ধরা হয়েছে।
বিনপুর পল্লী ক্লাবের এবারের পুজোর থিম ‘প্লাস্টিক মুক্ত সমাজ’
প্লাস্টিকের বহু সুবিধা থাকলেও সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল, এটি ‘বায়োডিগ্রেডেবল’ নয় অর্থাৎ প্রকৃতিতে মিশে যায় না। পৃথিবীতে প্রথম তৈরি প্লাস্টিকটি আজও ধ্বংস হয়নি। তাই ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অতিরিক্ত প্লাস্টিক নির্ভরতার কারণে প্রতি বছর তৈরি বর্জ্য ৫.৬ মিলিয়ন মেট্রিক টন ছাড়িয়ে চলেছে। ভারত থেকে সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত প্লাস্টিকের পরিমাণ পৃথিবীর প্লাস্টিক বর্জ্যের ৬০ শতাংশ। পুজো কমিটির পক্ষ থেকে সেই সচেতনবার্তা গোটা মণ্ডপ জুড়ে রয়েছে। মণ্ডপে প্রবেশ করার সম্মুখভাগেই ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সেই সমস্ত চিত্র।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
নিজেদের আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে প্লাস্টিক দূষণ কমাতেই হবে। পরিবেশ দফতর, প্রশাসন, সরকার, মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি উপযুক্ত আইন করে তার কঠোর প্রয়োগে উদ্যোগী হতে হবে। এই পৃথিবীতে জীবকুলকে টিকতে হলে প্রত্যেকে ভাবতে হবে, দায়িত্ব নিতে হবে। পুজো কমিটির এই ভাবনায় সচেতনতার চিত্র ফুটে উঠেছে।