কোনও নামিদামি শিল্পী নয়, এলাকার পড়ুয়ারাই ১৬ বছর ধরে একের পর এক থিমের মণ্ডপ গড়ে নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। দুর্গাপুর ডিপিএল সিকিউরিটি ব্যারাক প্রান্তিক ক্লাবের দুর্গাপুজোর কমিটির এবারের থিম কাশফুলের দোলে, মা এলেন ধামসা মাদলের তালে। উল্লেখ্য, ওই এলাকায় একসময় কোনও দুর্গাপুজো হত না। পুজোয় দুর্গাপুরের পাড়ার পুজো থেকে বিগ বাজেটের পুজোয় এলাকাবাসী মেতে উঠত। কিন্তু ওই সিকিউরিটি ব্যারাক এলাকায় যেন নিস্তব্ধতা বিরাজ করত।
advertisement
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার মেয়েরা যা শিখছে, এখন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে কাছে গেলে আর ঘরে ফিরতে হবে না
এলাকার কিশোর থেকে যুবকরা ওই নিস্তব্ধতা ও নিরিবিলি পরিবেশ কাটিয়ে নিজেরাই দুর্গাপুজো করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু দুর্গা পুজোর বিপুল খরচ আসবে কোথা থেকে? ডেকোরেটার দিয়ে প্যান্ডেল করার ভাবনাচিন্তা ছেড়ে নিজেরা সরস্বতী পুজোর মণ্ডপ গড়াকে অনুকরণ করে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ গড়তে শুরু করেন৷ তাদের উদ্যোগেই এলাকায় শুরু হয় সর্বজনীন দুর্গাপুজো। পড়ুয়াদের ভাবনাচিন্তায় ও কাঁচা হাতেই গড়ে ওঠে থিমের মণ্ডপ।
আরও পড়ুন : আবহাওয়ার অন্য খেলা! বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণ, অথচ পুজোর আগে গরমে নাজেহাল উত্তরবঙ্গ
বছরের পর বছর তাদের মণ্ডপ সজ্জা জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকে। দর্শনার্থীদের ভিড় জমতে থাকে মণ্ডপ চত্বরে। এবার দুর্গাপুরে বিভিন্ন এলাকা থেকে হোগলা পাতা, বট গাছের ঝুড়ি ও ডালপালা সহ নানান সামগ্রী সংগ্রহ করে মণ্ডপ গড়ে তুলছে তারা। গড়ে উঠছে এক অসাধারণ মণ্ডপ সজ্জা। এর আগে বিগত বছরে দুর্গাপুর প্রান্তিক ক্লাবের পুজোর থিম “ধন ধান্য পুষ্প ভরা, আমাদের এই বসুন্ধরা ” দর্শনার্থীদের তাক লাগিয়েছিল। এলাকার পড়ুয়ারা নিজেরাই থিমের কাজ করেছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে শিল্পাঞ্চলের বিগ বাজেটের পুজোগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় এই পুজো। তবে বাজেট খুব কম হলেও মণ্ডপ সজ্জায় কোনও খামতি থাকে না। পড়ুয়া থেকে ক্লাবের সদস্যরা নিজের শারীরিক পরিশ্রমে মণ্ডপ সাজিয়ে তোলেন। পুজোর উদ্যোক্তা নয়ন মালাকার ও দেবব্রত দাস জানান, এলাকার ১৬ জন পড়ুয়া সহ ৩০ জন ক্লাব সদস্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে এই থিমের পুজো করেন।