দুর্যোগের মেঘ সরিয়ে রোদ ঝলমলে পরিবেশ। তাতে মণ্ডপ শিল্পীদের মুখে হাসি ফুটেছে। বাঙালির বড় উৎসব দুর্গাপুজো দোরগোড়ায়। বর্তমানে দুর্গাপুজো মানেই ঠাকুর, প্যান্ডেল থেকে প্রতিমা সবেতেই চমক দিতে মরিয়া উদ্যোক্তারা। ফলে বড় শহরের গণ্ডি পেরিয়ে ছোট শহর থেকে মফঃস্বল সর্বত্রই থিম পুজোর ছড়াছড়ি। হলদিয়ার একটি বড় পুজো কমিটির এবারের থিম হারিয়ে যাওয়া ডোকরা শিল্প।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বাবা পরিযায়ী শ্রমিক, মেয়ে বাংলার গর্ব! ন্যাশনাল যোগা প্রতিযোগিতায় সোনা জয় মুনিয়ার
ডোকরা শিল্প, ভারতীয় সংস্কৃতির একটি প্রাচীন শিল্প। মহেঞ্জোদাড়ো সভ্যতায় এর প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায়। ডোকরা হল ‘হারানো মোম ঢালাই’ পদ্ধতিতে তৈরি একটি শিল্পকর্ম। এই শিল্পের ইতিহাস প্রায় ৪ হাজার বছরের পুরনো। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে ডোকরা শিল্পের প্রসার ঘটে। প্রধানত ঝাড়খণ্ড থেকে এই শিল্প পুরুলিয়া হয়ে রাজ্যের পশ্চিম প্রান্তের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ৪ হাজার বছর প্রাচীন এই শিল্প বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। তবে এবার হলদিয়ার এক প্যান্ডেলে হারিয়ে যাওয়া ডোকরা শিল্প ফিরে আসছে।
প্রখ্যাত শিল্পী চন্দন মাইতি প্রতিবছর দুর্গাপুজোয় নানা ধরণের থিম প্যান্ডেল তৈরি করেন। জেলার গণ্ডি পেরিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত ও ভিনরাজ্যে তাঁর শিল্প ভাবনায় তৈরি থিম মণ্ডপ সমাদৃত। এবার দুর্গাপুজোয় শিল্পশহর হলদিয়ার একটি পুজো মণ্ডপ সেজে উঠবে হারিয়ে যাওয়া প্রাচীন ডোকরা শিল্পে। চন্দন মাইতির থিম প্যান্ডেলের ওয়ার্কশপে দিনরাত এক করে কাজ চলছে।
আরও পড়ুনঃ পাল্টে গেল উচ্চ মাধ্যমিকের প্রশ্ন পদ্ধতি! ৪০ নম্বরের শুধু…! পরীক্ষা দিয়ে কী বলছেন পড়ুয়ারা?
শিল্পী জানান, ‘ডোকরা ভারতের প্রাচীন শিল্প মাধ্যমের অন্যতম। বর্তমান সময়ে এই কাজ আর দেখা যায় না। হারিয়ে যেতে বসেছে এই শিল্প। এবার থিম মণ্ডপে ফুটে উঠবে সেই ডোকরা শিল্প’। দুর্গা পুজোর মণ্ডপে ডোকরা শিল্প ফুটিয়ে তুলতে তাঁর ওয়ার্কশপে দিনরাত এক করে কাজ চলছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ডোকরা শিল্পের প্রধান বস্তু ধাতু হলেও এখানে ব্যবহার হচ্ছে ফাইবার ও প্লাইউড সহ অন্যান্য পরিবেশবান্ধব জিনিসপত্র। সেইসব দিয়ে তৈরি হচ্ছে নকশা, ফুটে উঠছে ডোকরা শিল্প। বর্তমানে দুর্গাপুজো মানেই থিমের আধিক্য। এই থিমে বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। শিল্পীর সূক্ষ্ম কাজে সেই বিষয়টি সাধারণ মানুষের কাছে প্রস্ফুটিত হয়। প্রায় চার হাজার বছর ধরে চলে আসা ডোকরা শিল্প এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে এবার দুর্গাপুজোয় ফিরে আসছে ডোকরা শিল্প।





