কাটোয়ার এই টিনের ঢাকের দেশজোড়া খ্যাতি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ী এবং ঢাকিরা প্রতি বছর পুজোর সময় কাটোয়া শহরে এসে এই ঢাক কিনে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: বাজারে ব্যাপক চাহিদা, ছোট ছোট কাঠের টুকরো দিয়ে অভিনব কায়দায় তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন মূর্তি থেকে ছবি
দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, নদিয়া, বীরভুম, মুর্শিদাবাদ, হুগলি সহ বিভিন্ন জেলায় পাড়ি দেয় এই ঢাক। বাংলাদেশেও পাড়ি দিয়েছে এই টিনের ঢাক। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার মাধবীতলা এলাকায় উত্তম দাস নামে এক ঢাক ব্যবসায়ী আছেন। তিনি নিজেকে এই টিনের ঢাকের আবিষ্কারক বলে দাবি করেন। সেই ব্যবসায়ী বলেন, আমার বাড়িতে বিশ্বকর্মা পুজোতে একজন বয়স্ক মানুষ ঢাক বাজাতে আসতেন। তিনিই প্রথম বলেছিলেন টিন দিয়ে একটা ঢাক বানিয়ে দিতে। কারণ কাঠের তৈরি ঢাক অনেক ভারী হওয়ায় সেটা কাঁধে তুলে বাজাতে কষ্ট হত। সেই প্রথম আমি টিনের ঢাক তৈরির চেষ্টা করি। তবে প্রথমে ততটাও ভাল হয়নি। অবশ্য পরে এটা একেবারে ঠিকঠাক হয়ে ওঠে এবং ক্রমশ এর চাহিদা বাড়ছে। এখন এই ঢাক ভিন রাজ্যেও যায়। পুজোর আগে প্রচুর চাহিদা থাকে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই বছর দুর্গাপুজোর আগে টিনের ঢাকের চাহিদা বেশ ভাল। কাঠের চেয়ে ওজনে হালকা হওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। উত্তম দাস জানিয়েছেন, এই বছর এখনও পর্যন্ত তিনি ৩,০০০ এর বেশি টিনের ঢাক বিক্রি করেছেন। পুজোর আগে আরও ঢাক বিক্রি হবে বলে তিনি আশা করে রয়েছেন। কাঠের ঢাকের থেকে এই টিনের ঢাকের দামও অনেক কম। বর্তমানে একটা কাঠের ঢাক কিনতে গেলে দাম পড়ে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। সেখানে টিনের ঢাকের খরচ মাত্র ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকা। দাম কম হওয়ার কারণে এবং ওজনে হালকা হওয়ায় এর চাহিদা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।