জরি কাজের বাজার বললেই অনেকই মনে করবেন কলকাতার বড় বাজার। তবে দেশ বিদেশের খুচরো-পাইকারি ক্রেতা বিক্রেতার কাছে বেশ জনপ্রিয় উলুবেড়িয়ার এই জরি বাজার। সাধারণত জরির শাড়ি নজর কাড়া হলেও, দাম শুনেই পিছিয়ে পড়েন ক্রেতারা। সেই অভিজ্ঞতার দিক থেকে একেবারেই আলাদা উলুবেড়িয়ার এই জরি বাজার। ৪০০-৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০০০-৩০০০০ টাকা বা তারও বেশি দামে পর্যন্ত শাড়ি বা লেহেঙ্গা মিলবে এখানে। সঙ্গে বেনারসি, ঝলক, পুজোর নেট ও নতুন ডিজাইনের শাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ World Samosa Day 2023: সিঙাড়ার নাম শুনলে তো জিভে জল আসে, সিঙাড়ার ইংরেজি কী জানেন
কলকাতার তুলনায় এই বাজারে দাম অনেকটাই কম বলছেন ক্রেতা বিক্রেতা। স্থানীয় ক্রেতা বিক্রেতা জানাচ্ছেনস নদী পার হলেই ১৫০০ টাকার জিনিস হয়ে যাচ্ছে প্রায় ডবল দাম। এই পার্থক্যের জন্যই ক্রেতারা হাওড়ার জরি বাজারে আসছে।দাম কম হওয়ার জন্যই কলকাতা, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, মুম্বই, গুজরাট ও বাংলাদেশ থেকে আসেন ক্রেতারা। প্রায় সমস্ত রকমের জরির কাজের আইটেম মজুদ এখানে।
জানা যায়, প্রায় কুড়ি থেকে বাইশ বছর আগে উলুবেড়িয়া জরির বাজার শুরু। উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা প্রদীপ ঘোষ প্রথম এই ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তার পর এক এক গড়ে ওঠে এই জরির বাজার। বর্তমানে প্রায় ৬০-৬৫টি জরির কাজের দোকানরয়েছে। শাড়ি বা লেহেঙ্গা দাম কম আবার কোয়ালিটি বেস্ট। ন্যায্য দামের, মূল কারণ হল হাওড়া জেলায় প্রায় ৬ লক্ষ কারিগর রয়েছে। সেই সব কারিগরের ভালো অংশ এই বাজারে সরসরি যুক্ত।
রাকেশ মাইতি