বাবর মন্ডলকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে তার স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় তারা। সেখান থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযোগ, বর্ধমান শহর লাগোয়া গোপালনগর এলাকায় কারখানা গড়ে তৈরি হতো হেরোইন। শহরের মাঝেই গোপনে চালানো হচ্ছিল আন্তঃরাজ্য হেরোইন কারবার। কয়েক দিন আগে রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের অভিযানে মাদক কারবারের পর্দা ফাঁস হয়। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ছ’ জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের দুজন ওড়িশা, দুজন মণিপুর ও দুজন এ রাজ্যের বাসিন্দা।
advertisement
আরও পড়ুন : বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত বেশ কয়েক জন, চাঞ্চল্য এলাকায়
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের কাছ থেকে ৬৫ কোটি টাকার হেরোইন ও তা প্রক্রিয়াজাত করার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নগদ ২০ লক্ষ টাকা পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন : হারিয়ে গিয়েছিল স্মৃতি, হাওড়ার দুই বন্ধুর চেষ্টা ১৪ বছর পর বাড়ি ফিরলেন চম্পক
তদন্তে প্রাথমিক অনুমান, মণিপুর থেকে কাঁচামাল এনে বর্ধমানে তা প্রক্রিয়াজাত করে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় পাঠানো হতো।এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে এসটিএফ। এসটিএফ সূত্র জানিয়েছে, প্রক্রিয়াজাত হেরোইন পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করা হত। এখানেই পোস্তর খোলার সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে তৈরি করা হতো হেরোইন, ব্রাউন সুগার। তৈরি হওয়া মাদক পাচার করা হতো এ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ও অন্যান্য রাজ্যে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল এই কারবার। নজরদারির জন্য ছিল রীতিমতো বেশ কয়েকজন বেতনভুক কর্মী। এত বড় মাদক কারবারের হদিশ সাম্প্রতিক কালে এ রাজ্যে মেলেনি বলেই জানাচ্ছেন এসটিএফের তদন্তকারী অফিসাররা।