রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘রাজ্য হস্তশিল্প মেলা ২০২৫’ শুরু হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর থেকে দুর্গাপুরের পলাশডিহা এলাকায় দুর্গাপুর হাটে বসছে এই মেলা, আগামী ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। মেলার আয়োজন করেছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতর। এই মেলায় বাঁকুড়া, বীরভূম ও পশ্চিম বর্ধমান সহ একাধিক জেলার শিল্পীরা তাঁদের নানান হস্তশিল্পের সম্ভার নিয়ে হাজির হয়েছেন।
advertisement
বস্ত্র, গয়না, জুট, বেত, ব্যাগ ও গৃহসজ্জার নানা সামগ্রী নিয়ে শিল্পীরা হাজির হয়েছেন। সেখানে বোলপুরের এক শিল্পী শেখ বাদল, শান্তিনিকেতনের জনপ্রিয় ডোকরার গলার হার, কানের দুল, হাতের বালা, ব্রেসলেট সহ আংটি ও টেরাকোটার গয়না ও তামা-পেতলের তারের তৈরি গয়না নিয়ে হাজির হয়েছেন। মেলার স্টলে বসে অন্যান্য শিল্পীদের মতো তিনিও নিজের হাতে গয়না গড়ে চলেছেন। তাঁর দাবি, দুর্গাপুরে তাঁর হাতের তৈরি গয়নার বেশ চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি তাঁর শৌখিন কাজের জন্য ক্রেতারা তাঁকে উৎসাহিত করছেন বলে দাবি। মেলা থেকে আয়ও হচ্ছে ভালই।
বাংলার হস্তশিল্প মানেই ঐতিহ্য ও কারিগরির অমূল্য সংযোগ৷ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমবায় ও দেশজ শিল্পের প্রসারের জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ১৯০৫ সালে পতিসরে প্রথম কৃষি সমবায় ব্যাঙ্ক স্থাপন করেছিলেন তিনি, যার উদ্দেশ্য ছিল গরিব প্রজাদের মহাজনের হাত থেকে রক্ষা করা। এছাড়াও শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতি, যেমন- কৃষি, পশুপালন এবং হস্তশিল্পের উন্নয়নের উপর জোর দিয়েছিলেন, যাতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সকলের কর্মসংস্থান ও উপার্জনের সুযোগ বাড়ে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সেই সময় থেকেই বোলপুর শান্তিনিকেতনে হস্ত ও কুটির শিল্পের উৎপত্তি হয়। বর্তমানে বীরভূম জেলায় হস্তশিল্পীর সংখ্যাও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। শিল্পীরা ভাল অর্থ উপার্জনও করছেন। ওই স্থানীয় শিল্পীদের হাতে তৈরি গয়না, বস্ত্র, শোপিস ও গৃহসজ্জার সামগ্রী আজ বাংলা সহ দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেইসব হস্তশিল্পের কাজ শিখে বিভিন্ন জেলায় বহু যুবতী থেকে গৃহবধূ ও পুরুষরা বর্তমানে স্বনির্ভর হচ্ছেন।





