২৫ শ্রাবণ বর্ধমানেশ্বরের আবির্ভাব দিবস। প্রতিবছর পূর্ব বর্ধমান জেলার অন্যান্য প্রান্ত থেকে হাজারে হাজারে মানুষ কাটোয়া থেকে জল নিয়ে আসেন বর্ধমান শহরে। রাত থেকেই শুরু হয় জল ঢালা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বাকি সব কিছু ঠিক থাকলেও নিজের তাণ্ডব কিছুতেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। যদিও শব্দ দূষণ রোধ করতে ও ডিজের তাণ্ডব কমাতে কাটোয়া থানা, বর্ধমান থানা সহ বেশ কয়েকটি থানার পক্ষ থেকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালান হয়েছে। সেখানে সর্বোচ্চ শব্দ সীমা ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে রাখার জন্য বলা হয়েছিল।এমনকি শব্দসীমা লঙ্ঘন করলে দোষি ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ও মিউজিক সিস্টেম বাজেয়াপ্তে হবে বলেও জানানো হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রবিবার ভোররাত থেকে সোমবার পর্যন্ত ডিজের তাণ্ডব দেখা গেল শহর জুড়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতের কাছেই সেই জায়গা, যেখানে মাতঙ্গিনী হাজরা ‘জীবন্ত’! ঘুরতে গিয়েও অনেকেই অজান্তে করে ফেলেন মিস
শব্দ দানবের দাপাদাপিতে মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন বয়স্ক থেকে শিশুরা। প্রশাসন যাতে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।যদিও পুজো কমিটিগুলির দাবি, গত দু’বছরের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছছ ডিজের তাণ্ডব। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকেও পুজো কমিটিগুলিকে শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে আনার বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছিল।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দারা। না হলে অসুস্থ মানুষদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা। পাশাপাশি পড়াশোনা থেকে শুরু করে মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।