ছোট থেকেই মেয়েকে আত্মরক্ষার জন্য ক্যারাটেতে ভর্তি করেছিলেন মা-বাবা। তখনও তারা জানতেন না মেয়ের ক্যারাটে স্কিলে দেশ-বিদেশ থেকে পদক জয় করে আনবে সে। কঠিন অধ্যাবসা ও পরিশ্রমের মধ্যে দিয়ে নিজেকে একজন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড টাফ কম্পিলিটার হিসাবে প্রমাণ করেছে দিয়া। ১১ তম কমনওয়েলথ ক্যারাটেতে অংশগ্রহণ করার জন্য ২৫ নভেম্বর সাউথ আফ্রিকা পৌঁছে গিয়েছিলেন দিয়া। ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে প্রতিযোগিতার খেলা। সেখানেই ক্যারাটের দুইটি বিভাগ কাতা ও যৌথ কাতায় সোনা ও রুপোর পদক জয় করে স্কুল পড়ুয়া দিয়া। ক্যারাটের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মেধাবী দিয়া। ক্যারাটে পাশাপাশি পড়াশোনা করে আগামীদিনে ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তার। কারণ একজন সিভিল সার্ভেন্ট হয়ে মানুষের জন্য কাজ করতে আগ্রহী সে। তার এই সাফল্যের জন্য খুশি তার গোটা পরিবার।
advertisement
আরও পড়ুন: টোটোর নামে যা চলছিল ভয়ঙ্কর! আপনি ওঠেননি তো? হাতেনাতে ধরলেন পুরপ্রধান
আরও পড়ুন: সব ছেড়ে এবার চুরি যাচ্ছে জল! প্রশাসনও চুপ করে বসে নেই, নিল কঠোর ব্যবস্থা
এই বিষয়ের দিয়ার মা আশা রায় বলেন, মেয়েকে ছোট থেকে ক্যারাটে ভর্তি করেছিলেন যাতে সে নিজের আত্মরক্ষা শিখতে পারে। আস্তে আস্তে ক্যারাটের প্রতি মেয়ের এতটাই ঝোঁক তৈরি হয় যে দিনে অন্তত ৭-৮ ঘন্টা ক্যারাটেই প্র্যাকটিস করে সে। এর আগে তুর্কি ও মালয়েশিয়াতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাতেও ব্রোঞ্জ ও সিলভার জিতেছিল। এই প্রথমবার কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় সোনার পদক জয় করেছে তার মেয়ে। আগামী দিনে দেশের হয়ে বিভিন্ন খেলার মধ্যে দিয়ে আরও পদক জয় করে এনে দেশের নাম উজ্জ্বল করতে চায় তার মেয়ে। মেয়ের এই সাফল্যের জন্য উদ্ভাসিত গোটা পরিবার।
রাহী হালদার





