বছরভর কেউ খবর রাখে না এই প্রদীপশিল্পীদের ৷ শুধু দীপাবলির আগে এই সময়ে বাড়ে তাঁদের কদর ৷ কারণ প্রদীপের নীচেই তো অন্ধকার হয় । আলোর উৎসব বা দীপাবলিতে অন্যের মুখে হাসি ফোটাতে বছরভর অপেক্ষায় থাকেন প্রদীপশিল্পীরা । শিল্পী জিতেন্দ্র পণ্ডিত বলেন, "সারা বছর আমরা অপেক্ষা করি দীপাবলির জন্য। যাতে এই ক’দিন একটু হলেও আমাদের কদর বাড়ে । যদিও এখনও টুনি আলো , মোমবাতি ইত্যাদি অনেক কিছু আসায় দর কমেছে আমাদের । তবুও আমরা বড়, ছোট সব রকমেরই প্রদীপ বানাই ও প্রদীপের আকার অনুযায়ী একশোটা প্রদীপ কোনওটা ৭০ টাকা তো আবার কোনওটা ৮০ টাকা দরে বিক্রি করি ।’’
advertisement
আরও পড়ুন: ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকিৎসায় নতুন জীবন, ৭০০ গ্রাম ওজনের নবজাতককে সুস্থ করে তুললেন চিকিৎসক
এমনিতেও এখন সব জিনিসের দাম বাড়ায় সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে মাটিরও । তাই ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখেই নির্দিষ্ট মূল্য রেখে এই মাটির প্রদীপ বিক্রি করতে হয় তাঁদের । তিনি আরও বলেন, ‘‘টুনি লাইট , মোমবাতির মতোই যদি চাহিদা থাকত মাটির প্রদীপের, তবে একটু হলেও লাভ হত আমাদের ।’’
আরও পড়ুন: নীচের তলায় খুন হলে সিঁড়ির বাঁদিকের রেলিংয়ে রক্তের দাগ কেন? ব্যবসায়ী-খুনে এখনও একাধিক ধোঁয়াশা
এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুরবাসী শ্রীতমা মুখোপাধ্যায় বলেন, " দীপাবলির মধ্যেই আছে দীপের অস্তিত্ব । তাই দীপাবলিতে যতই টুনি লাইট অথবা মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজাই না কেন, মাটির প্রদীপের আলোয় সব থেকে সুন্দর লাগে মায়ের মুখ । টুনি লাইটের পাশাপাশি যেন হারিয়ে না যায় এই মৃৎপ্রদীপ ।"