মেদিনীপুর : মাত্র ৭০০ গ্রাম ওজনের পুত্রশিশুকে সুস্থ করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে নজির স্থাপন করলেন মেদিনীপুর (Medinipur) শহরের বিশিষ্ট শিশুরোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ দীপক মাসান্ত (Dr. Dipak Masant)। ৩৪ দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের মুগবেড়িয়ার বাসিন্দা যুথিকা বেরা গর্ভবতী অবস্থায় মেদিনীপুরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন শারীরিক সমস্যা নিয়ে।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ মঙ্গলপ্রসাদ মল্লিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন যে যূথিকার গর্ভের থাকা সন্তানের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ৷ এর পরই ডাঃ মল্লিক সিদ্ধান্ত নেন সি সেকশন অপারেশনের। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন যূথিকা৷ তবে নবজাতকের ওজন ছিল মাত্র ৭০০ গ্রাম৷
আরও পড়ুন : রোগিণীর সারা দেহে ফোস্কা ও যন্ত্রণা! সরকারি হাসপাতালে ৯ মাসের চিকিৎসায় সারল বিরল চর্মরোগ
এই পরিস্থিতিতে উদ্বেগ দেখা দেয় চিকিৎসকদের মধ্যে। তাঁর পরিবারের লোকেরা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ দীপক মাসান্তর দ্বারস্থ হন। ডাঃ মাসান্ত শিশুটির চিকিৎসা শুরু করেন ৷ দীর্ঘ ৩৪ দিন শিশুটিকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমের NICU বিভাগে রাখা হয় ২৪ ঘন্টা নজরদারির মধ্যে। অবশেষে একটু একটু করে সুস্থ হতে শুরু করে শিশুটি।
আরও পড়ুন : লালগড়ের জঙ্গলে উদ্ধার পরিত্যক্ত সদ্যোজাত শিশুকন্যা
অবশেষে সোমবার শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হল। আর নিজেদের সন্তানকে কাছে পেয়ে আনন্দাশ্রুতে ভরে যায় বাবা বিভাকর পান্ডা ও মা যূথিকা বেরার চোখ । সোমবার নিজেদের আত্মজকে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন এই দম্পতি।
আরও পড়ুন : নীচের তলায় খুন হলে সিঁড়ির বাঁদিকের রেলিংয়ে রক্তের দাগ কেন? ব্যবসায়ী-খুনে এখনও একাধিক ধোঁয়াশা
এ বিষয়ে ডাঃ দীপক মাসান্ত বলেন, ‘‘পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বর্তমান স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর মধ্যে এই রকম অবস্থার শিশুকে বাঁচিয়ে তোলার নজির এর আগে নেই।’’ এরজন্য তিনি নার্সিংহোমের NICU র পুরো টিমের প্রশংসা করেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করেছি মাত্র, বাকিটা ঈশ্বরের কৃপা।’’
( প্রতিবেদন-শোভন দাস )
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।