Rare skin disease : রোগিণীর সারা দেহে ফোস্কা ও যন্ত্রণা! সরকারি হাসপাতালে ৯ মাসের চিকিৎসায় সারল বিরল চর্মরোগ

Last Updated:

বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের (Rampurhat Medical College and Hospital) চর্মরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান , চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কপিলদেব দাস সারালেন বিরল এই চর্মরোগ

রামপুরহাট : ৯ মাসের চিকিৎসায় সরকারি হাসপাতালে সারল বিরল চর্মরোগ (Rare Skin Disease)। বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের (Rampurhat Medical College and Hospital) চর্মরোগ  বিভাগের বিভাগীয় প্রধান , চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ কপিলদেব দাস সারালেন বিরল এই চর্মরোগ। সারা দেহে ফোস্কা আর অসহ্য যন্ত্রণা, এমন উপসর্গ নিয়ে ভুগছিলেন বীরভূমের (Birbhum) সদাইপুর থানার সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা মুনিরা বিবি। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের চর্মরোগ বিভাগের প্রধান কপিলদেব দাস জানান, " প্রায় আট-ন’ মাস ধরে চিকিৎসায় ছিলেন বছর ছাব্বিশের মনিরা বিবি। তাঁর বাড়ি বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের সদাইপুর থানার অন্তর্গত সাহাপুর গ্রামে। সারা দেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গে ফোস্কা এবং সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা। এই রোগের ফলে রোগপ্রতিরোধকারী অ্যান্টিবডি রস দেহের কোষের শৃঙ্খল সংযুক্তি বা ক্লিপ নষ্ট করে দেয়। লাখের মধ্যে একজনের এই বিরল রোগ হয় , ডাক্তারি ভাষায় এই রোগের নাম হল 'পেমফিগাস ভালগারিস' । এই রোগে কুড়ি থেকে তিরিশ শতাংশ মৃত্যুর সম্ভাবনাও থেকে যায়। রিট্যাক্সিম্যাব ইঞ্জেকশন এই অ্যান্টিবডিকে নষ্ট করে কোষকে বাঁচায়।"
আর এই রোগের সব থেকে বড় সমস্যা হল এর ইঞ্জেকশন সুলভ নয়। মেডিক্যাল কলেজ ছাড়া পাওয়া মুশকিল। এক একটি ইঞ্জেকশনের দাম বত্রিশ হাজার তিনশো চুয়াল্লিশ টাকা। মোট চারটি ডোজ নিতে হয়। তবে মুনিরা বিবির ইঞ্জেকশন পেতে সমস্যা হয়নি স্বাস্থ্যেসাথী কার্ড থাকায়। ডাক্তার কপিল দেব দাস বলেন, " সিউড়িতে চেম্বারে দেখাতে আসতেন । গরিব মানুষ। আমি রোগীকে জিজ্ঞেস করি প্রাইভেটে তার পক্ষে এই অসুখের দামি ইনজেকশন কেনা সম্ভব কিনা? তাদের পক্ষে এই লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করা সম্ভব ছিল না। চারটে ভায়ালের দাম এক লক্ষ্য সাতাশ হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড আছে জেনে হাসপাতালের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারপর তারাই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এই রোগের ইঞ্জেকশন ভায়ালের ব্যবস্থা করেন।"
advertisement
আরও পড়ুন : আর্ন্তজাতিক গ্ল্যাম আইকন 2021 বিউটি প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় খড়গপুরের অর্চিসা
জেলা মেডিক্যাল কলেজে চর্মরোগ বিভাগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ ইঞ্জেকশন দেওয়া শুরু হয়। রোগী ভর্তি হন বৃহস্পতিবার সকালে। সারাদিন চলে ইঞ্জেকশন । এই ধরণের বিরল চর্মরোগের চিকিৎসা হল প্রথম রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তবে এই চর্মরোগকে বিরল বলা হচ্ছে কারণ এই রোগ হয় প্রতি লাখের মধ্যে একজনের। সেটা জিনগত কারণে হতে পারে, আবার তা নাও হতে পারে। ইঞ্জেকশনের দুটো ডোজে ধীরে ধীরে সারতে থাকেন ৷ তবে এখন রোগী মুনিরা বিবি পুরোপুরি সুস্থ। যদিও এই সাফল্যের পুরো কৃতিত্ব চিকিৎসক কপিল দেব দাস দিতে চান তার তাঁর হাসপাতালের চর্মবিভাগ, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং সহকারী চিকিৎসক দেবাশিস সেনকে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : খড় বার করার জন্য গোয়ালঘরের দরজা খুলেই চক্ষু চড়কগাছ! কুণ্ডলী পাকিয়ে অপেক্ষা করছে অজগর!
রোগিণীর স্বামী চাষী শেখ রমজান বলেন,"অভাবের সংসারে দু’বছর ধরে চিকিৎসার জন্য শুধু পয়সা খরচ করেছি। সিউড়ি, বর্ধমান, পিজি সব হাসপাতালেও দেখিয়েছি। পিজিতে বায়োপসি পরীক্ষা করেছে তবে তার রিপোর্ট আসার আগে সিউড়ির চেম্বারে ডাঃ কপিল দেব দাসের কাছে দেখানোর পর ডাক্তারবাবু যা বলেন, কিছুদিন পর কলকাতার রিপোর্টেও তাই আসে। সেই অনুযায়ী চিকিৎসা হয়। আট-নয় মাসের চিকিৎসার পরে এখন সুস্থ। ডাক্তারবাবু আর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আর্থিক সাহায্যে আমার স্ত্রীকে বাঁচাতে পারলাম। ডাক্তারবাবু আর মমতাদিদির সরকারের কাছে আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর কোনও ভাষা নেই।"
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Rare skin disease : রোগিণীর সারা দেহে ফোস্কা ও যন্ত্রণা! সরকারি হাসপাতালে ৯ মাসের চিকিৎসায় সারল বিরল চর্মরোগ
Next Article
advertisement
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
SSKM-এ নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ! গ্রেফতার এনআরএসের অস্থায়ী কর্মী
  • এসএসকেএমে ‘যৌন হেনস্থা’র অভিযোগ নাবালিকাকে

  • ডাক্তার পরিচয় দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন শৌচাগারে!

  • অভিযুক্ত গ্রেফতার

VIEW MORE
advertisement
advertisement