এদিন বারাসাত রবীন্দ্রভবনে আসন্ন কালীপুজো নিয়ে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক শরদ কুমার ত্রিবেদী, পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস, ও রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। বৈঠকে মূলত বারাসাত ও মধ্যমগ্রামের কালীপুজো উপলক্ষে দর্শনার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ, যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ, পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য প্রশাসনিক নির্দেশিকা এবং সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
advertisement
অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গিয়েছে, কালীপুজোর দিনগুলিতে বারাসাত ও মধ্যমগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়, এমনকি দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সড়ক-সহ চলাচলের রাস্তা। এবার সেই সমস্যা এড়াতে রাস্তার দুই ধারে ব্যারিকেড বসিয়ে দর্শনার্থীদের চলাচল সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনা রোধে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা থাকবে। যাতে পুরোপুরি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ না করা হয় সে বিষয়েও পরিকল্পনা গ্রহণ করছে জেলা প্রশাসন বলে জানা গিয়েছে। পুজোর দিনগুলি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যান নিয়ন্ত্রণ করে যাতে সচল রাখা যায় রাস্তা সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে বলেই জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। রাতভর ঠাকুর দর্শন চলবে, ফলে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপার থেকে শুরু করে জেলা পুলিশের আধিকারিকরা রাত জেগে রাস্তায় টহল দেবেন। ভোরের ট্রেন চলাচল শুরু হলে যখন দর্শনার্থীরা ফিরবেন, তখনই বিশ্রাম নিতে পারবেন পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা। রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ জানান, পুজো কয়েকদিন মানুষ নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ঠাকুর দেখবে।
প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে পুজো মণ্ডপ গুলির আশপাশে শৃঙ্খলা বজায় থাকে। পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিদের আবেদন করা হয়েছে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে যাতে পুলিশ প্রশাসনও সুষ্ঠ পরিবেশ তৈরি করতে পারে। প্রশাসনের দাবি, কালীপুজোকে কেন্দ্র করে বারাসাতে এবার থাকবে কড়া নিরাপত্তা, সুস্থ পরিবেশ এবং দর্শনার্থীদের জন্য সর্বক্ষণ সাহায্যের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে এ বছর বারাসাতের কালীপুজো শুধু উৎসব নয়, প্রশাসনের কাছে যেন মর্যাদার চ্যালেঞ্জ।
Rudra Narayan Roy