সবজি, মাছ, মাংসের বাজার থেকে চায়ের দোকান, মুদিখানার দোকানে এখন অনলাইনে পেমেন্টের ব্যবস্থা করেছে। শুধু তাই নয়, ঠ্যালা গাড়িতে আখের রস, সাইকেলে করে ঘুরে সব্জি বিক্রেতাও সেই ব্যবস্থা করেছে। কারণ, অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমে কেনাকাটার চল বেড়েছে। যার জেরে বীরভূমের নলহাটি, মুরারই, রামপুরহাট, মল্লারপুর, তারাপীঠ সর্বত্র নগদ টাকার অভাব দেখা দিয়েছে, তেমনই খুচরো টাকার সঙ্কট তৈরি হয়েছে শহর, গ্রামাঞ্চল সর্বত্র।
advertisement
আরও পড়ুন: দেড় কোটির ঘাট তারাপীঠে…! ৫ বছরেই যা অবস্থা, দেখলে আঁতকে উঠবেন
ডিজিটাল মাধ্যমে পেমেন্টের প্রসার ঘটলেও, নগদ টাকার ব্যবহার এখনও অনেক বেশি। ছোট ব্যবসা এবং গ্রামাঞ্চলের অনেক দোকানে অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা নেই। আবার কিছু ক্ষেত্রে গ্রাহকরা অনলাইন পেমেন্ট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না বা প্রক্রিয়া জানেন না। কেউ কেউ আবার প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন। তাঁরা নগদ টাকা নিয়ে বাজারে আসছেন। কিন্তু তাঁরা খুচরোর সমস্যায় পড়ছেন। বীরভূমের রামপুরহাটের এক স্থানীয় বাসিন্দা এসেছিলেন রামপুরহাট হাটতলায় সবজি কিনতে। তিনি ৩৫ টাকার সব্জি কিনে দোকানদারকে ১০০ টাকার নোট দিলেন। বিক্রেতা সঙ্গে সঙ্গে জানালেন খুচরো দিন বা অনলাইনে পেমেন্ট করুন। কিন্তু ক্রেতার অনলাইনে পেমেন্টের কোন ব্যবস্থা নেই। ব্যস, খুচরো নিয়ে সমস্যায় পড়ে গেলেন তিনি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঠিক এমন ভাবেই দিন দিন খুচরো টাকার সমস্যায় করছেন সকলেই। আবার অন্যদিকে বাজারে যে সমস্ত ১০ টাকা অথবা ২০ টাকার নোট রয়েছে সেগুলি অবস্থা বেহাল। ছিঁড়ে ফেটে একাকার অধিকাংশ ১০ টাকা, ২০ টাকার নোট। আর সেই নোট নিতে অনিহা প্রকাশ করছেন ক্রেতাদের মধ্যে একাংশ। সেই নিয়েও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এই নোট নিয়ে একাধিকবার ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের মধ্যে ঝামেলা অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।
সৌভিক রায়