ঘূর্ণিঝড় মোকা প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় রূপে আছড়ে পড়ছে এ দিন বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব বাংলায় পড়েনি। তবে মোকার প্রভাবে উত্তাল ছিল সমুদ্র। সকাল গড়াতেই উপকূলবর্তী অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হয়। দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সমুদ্রস্নানে উন্মুখ ছিলেন পর্যটকরা। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ঘরের ভিতরে এ কী কাণ্ড! দরজা ভেঙে ঢুকল একে একে অনেকে, তারপর যা হল…
সপ্তাহের শেষে শনি, রবিবার ছুটির কারণে দিঘা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুর, মন্দারমণি, শংকরপুর প্রভৃতি সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে পর্যটকদের ভিড় ভালই। পর্যটকদের সতর্ক করতে বারবার সমুদ্র সৈকত সরণিতে মাইকিং করছে পুলিশ প্রশাসন। এমনকি পর্যটকেরা সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে না পারে তার জন্য নিউ দিঘা থেকে ওল্ড দিঘা পর্যন্ত বিভিন্ন খাটে দড়ি দিয়ে ব্যারিকেড করা হয়েছে। বিপর্যয়ের প্রস্তুতি হিসেবে সতর্ক পুলিশ প্রশাসন নুলিয়া থেকে এন ডি আর এফ টিম।
প্রশাসনের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ সত্বেও পর্যটকেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই উত্তাল সমুদ্রে নেমে পড়ছে স্নানের জন্য। সমুদ্র সৈকত থেকে নুলিয়ারা বারে বারে পর্যটকদের সতর্ক করে তুলে দিচ্ছে। কিন্তু তা সত্বেও পর্যটকেরা এই উত্তাল সমুদ্র নামতে উন্মাদ। এ দিন এ রকমই এক পর্যটক উত্তাল সমুদ্রে স্নান করতে নেমে যান। তারপরে বড় ঢেউয়ের ঝাপটায় তলিয়ে যেতে থাকেন। অন্যান্য পর্যটক ও নুলিয়াদের তৎপরতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। প্রসঙ্গত, মোকা ঘূর্ণিঝড়ের পরোক্ষ প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। ১৫ মে পর্যন্ত সমুদ্রস্নানে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে প্রশাসন।
Saikat Shee