দিঘা জগন্নাথ ধামে যজ্ঞকুণ্ড, কলসস্থাপন করা হয়েছে দেশের বিভিন্ন তীর্থক্ষেত্র থেকে মঙ্গল-কলসে করে আনা হয়েছে জল। মূল পুজো শুরু ২৮ এপ্রিল সোমবার রাত থেকে। পরদিন সকালে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিল সূচনা মহাযজ্ঞের। বিকেলে সহোদর ভাইবোন- সহ জগন্নাথদেবকে ঘুম পাড়ানোর জন্য শয়ন করানো হবে। খাট তৈরি করা হয়েছে। ফুল দিয়ে সাজানো হবে। ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়ার দিন সকালে প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তারপর স্নান পর্ব। ভগবানের অভিষেক। ৫৬ ভোগ নিবেদন করা হবে। দরজা খুলবে মন্দিরের। শুরু হবে মহা -আরতি, নিত্য পুজো। জগন্নাথের পুজো ও দর্শনের পথ খুলে যাবে ভক্তদের জন্য।
advertisement
দিঘা জগন্নাথ ধাম উদ্বোধন ঘিরে দিঘা জুড়ে মহোৎসবের আয়োজন করেছে প্রশাসন। রঙিন আলোয় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিঘাকে। ২৮ এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে এই উৎসব। চলবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত।
২৯ এপ্রিল মহাযজ্ঞের জন্য এক কুইন্টাল আমকাঠের জোগাড় করা হয়েছে। রামনগর ১ ও ২ ব্লক এবং এগরা ১ ও ২ ব্লক মিলিয়ে চারটি ব্লক থেকে এসেছে জগন্নাথ মন্দিরের মহা হোমযজ্ঞের জন্য এক কুইন্টাল কাঠ। জগন্নাথ দেবের প্রাণ প্রতিষ্ঠার আচার অনুষ্ঠান মেনেই সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও দায়িত্বে রয়েছে পুরীর মন্দিরের প্রধান পুরোহিতের দল।
দিঘা জগন্নাথ মন্দির উপলক্ষে পর্যটকেরও ভিড় দিঘায়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১২ হাজার সাধারণ মানুষকে মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠান দেখতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে উত্তরীয় ব্যাচ ও খাবারদাবার প্রদান করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
এমনকি তাদের যাতায়াতের জন্য নির্দিষ্ট যানবাহনও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ২৮ তারিখ থেকে এই মহাযজ্ঞে সামিল হবে রাজ্যবাসী। ইতিমধ্যে দিঘায় পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ মন্দিরের দ্বার উন্মোচন করবেন তিনি। মন্দিরের দ্বার খুলে দেওয়ার পর ভক্তদের ভিড় থাকবে বলে মনে করছে প্রশাসন।
— সৈকত শী





