TRENDING:

South 24 Parganas News: জয়নগরে শুরু ধন্বন্তরি কালীমায়ের পুজো! টানা ১৫ দিন নানা বেশে দেখা যাবে মাকে

Last Updated:

জয়নগরের ধন্বন্তরি কালী প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জয়নগরের ধন্বন্তরি কালী প্রায় ৪০০ বছরের প্রাচীন। এখন বেশের মেলার সময়। এক পক্ষ ধরে রূপ পরিবর্তন উৎসব চলবে। কালীর এই রূপ দেখতে আসেন দূর দূরান্তের মানুষ। ইতিমধ্যেই মন্দিরের সামনের রাস্তায় দোকান সাজিয়ে বসে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মন্দির সূত্রে খবর প্রতিপদে কালীর ভুবনেশ্বরী রূপ দেখা যাবে। তারপর একে একে বিপত্তারিণী, কমলেকামিনী, গণেশজননী, কৃষ্ণকালী, বারাহী, নরসিংহী, দেবীচণ্ডিকা, জগদ্ধাত্রী, জাহ্নবী, অন্নপূর্ণা, কালীয়দমন, ইস্ত্রী, দক্ষিণাকালী ও ষোড়শী রূপ প্রকট হবে। ষোড়শী থাকে তিনদিন। ইতিহাস অনুযায়ী, রাজা প্রতাপাদিত্যের সঙ্গে সম্রাট জাহাঙ্গিরের বিরোধ শুরু হয়েছিল। প্রতাপাদিত্যকে বন্দি করেছিলেন সম্রাট। প্রতাপাদিত্যর বন্ধু ছিলেন শঙ্কর চক্রবর্তী নামে এক ব্রাহ্মণ।
advertisement

আরও পড়ুন: কথা দিযেছিলেন মমতা, এবার ঘরে বসেই দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের প্রসাদ! কী এল প্যাকেটে ভরে?

রাজার মৃত্যুর পর তিনি বংশরক্ষায় পরিবারের সবাইকে দক্ষিণ যশোরে পাঠিয়ে দেন। আজকে যে জায়গাটির নাম জয়নগর। সেই অঞ্চলটি ছিল দক্ষিণ যশোহরের অন্তর্গত। সে সময় এলাকাজুড়ে জঙ্গল। বাঘ ও নানা ধরনের হিংস্র জন্তুতে ভরা। জনশ্রুতি আছে, তান্ত্রিক ভৈরবানন্দ সেখানে কঠোর তপস্যা করছিলেন। বর্তমানে যেখানে রয়েছে মন্দির, চক্রবর্তীদের এক পূর্বপুরুষ রাজেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী ভৈরবানন্দের সন্ধান পেয়ে নেতড়া থেকে এসে পৌঁছন সেখানে। দু’জনের সাক্ষাৎ হয়। রাজেন্দ্রনাথ তাঁর শিষ্য হয়ে যান। ভৈরবানন্দ তাঁকে বলেছিলেন, আদি গঙ্গায় মা রয়েছেন।’ তারপর বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন আদি গঙ্গা থেকে কালীর কষ্টিপাথরের মূর্তি তুলে এনে পর্ণকুটিরে প্রতিষ্ঠা করা হয়।

advertisement

আরও পড়ুন: ৪৫ বছরের সংসার, চন্দননগরের গৃহবধূ পাকিস্তানের নাগরিক! গ্রেফতারির পর অবাক প্রতিবেশীরা

View More

ভৈরবানন্দ পুজোর দায়িত্ব রাজেন্দ্রনাথকে দিয়ে অন্যত্র চলে যান। তারপর বংশ পরম্পরায় চক্রবর্তীরা জয়নগরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে ধন্বন্তরি কালী মন্দিরে পুজো করছেন। কালীকে আরাধ্যা দেবী বলে সাধনা করেছিলেন সাধক ভৈরবানন্দ। তাই মায়ের নাম ধন্বন্তরি। চক্রবর্তী পরিবারের বর্তমান সেবাইত অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, ‘বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন মায়ের জন্মদিন পালন করা হয়। ওই দিন মাকে ষোড়শী রূপে সাজানো হয়। তিনদিন ধরে তা থাকে। তারপর কালীকে মালিনী রূপে সাজানো হয়। সেখানে কালীকে আঁকশি নিয়ে ফুল পাড়তে দেখা যায়।

advertisement

সুমন সাহা

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
South 24 Parganas News: জয়নগরে শুরু ধন্বন্তরি কালীমায়ের পুজো! টানা ১৫ দিন নানা বেশে দেখা যাবে মাকে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল