হলদিয়ার এই আগুনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দশকর্মা ভাণ্ডার থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে ফাস্টফুড, চা এবং কাপড়-সহ পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে। ফাস্টফুড দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার এবং ফ্রিজ ব্লাস্ট করায় আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। খবর দেওয়া হয় দমকলে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের চারটি ইঞ্জিন। প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়েছে দোকান ঘর এবং দোকানের ভিতরে থাকা জিনিসপত্র। এই ঘটনায় কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডারে এখন ঢুকছে হাজার টাকা! ভোটের দিনে একী কাণ্ড ঘটালেন মহিলারা? বিরাট চমক
আরও পড়ুন: হাওড়া-বর্ধমান লাইনে চলবে কাজ! ট্রেন যাত্রীদের কি দুর্ভোগ বাড়বে? সবটা জেনে নিন
হলদিয়া শহরে রাতের এই বিধ্বংসী আগুনে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়া ফাস্টফুড দোকানের মালিক চন্দন সাহু জানান, দোকানে পরের দিনের জন্য মালপত্র মজুত করে রাত সাড়ে আটটার সময় বাড়ি যান। আর রাতে সাড়ে এগারোটার পর তার কাছে ফোন আসে তাদের লাইনে থাকা পরপর বেশ কয়েকটি দোকানে আগুন লেগেছে। এই আগুনের ঘটনায় তার দোকান পুরো ভস্মীভূত হয়েছে। দোকানের ফ্রিজ, গ্যাস, সিলিন্ডার বাসনপত্র সমস্ত কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। পুড়ে ছাই হওয়া একটি ফুল দোকানের মালিক জানান, প্রথম শটিসার্কিট থেকেই আগুনটি লাগে। তারপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের খাবারের দোকানে সেখান থেকে গ্যাস সিলিন্ডার বাস করে আগুন ভয়াবহ রূপ নেয়। সমস্ত দোকান পুড়ে ছাই হয়েছে। অবশিষ্ট বলে কিছু নেই। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের দাবি, এই আগুনের ঘটনায় তারা সম্পূর্ণ নিঃস্ব হয়েছেন। প্রতিটি দোকানে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফুটপাতের উপর এই দোকানগুলি তাদের একমাত্র রুটি রোজকারের পথ ছিল। কিন্তু সেটুকু শুক্রবার রাতের আগুনে ধুলিস্যাৎ হয়েছে। পুনরায় যাতে তারা নতুনভাবে দোকান করতে পারেন, তার জন্য সরকারের কাছে আর্থিক সাহায্য প্রত্যাশা করেছেন।
সৈকত শী