কিন্তু এই ছুটে চলার জীবনে উৎসবের আনন্দের ছোঁয়া প্রায়শই তাঁদের কাছে অধরা থেকে যায়। কাজের ব্যস্ততা, সময়ের অভাব, দূরত্ব সব মিলিয়ে অনেকেরই নিজের বাড়ির বোনের কাছ থেকে ভাইফোঁটা নেওয়ার সুযোগ হয় না। এমনকি অনেক সময় তাদের ছুটি পর্যন্ত থাকে না এই দিনে। এইসব অক্লান্ত পরিশ্রমী মানুষদের দিনটিকে একটু আলাদা করে তুলতেই অভিনব উদ্যোগ নিল কাটোয়ার রেনবো ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
advertisement
আরও পড়ুন : দু’মুঠো ভাতের জন্য শিশুদের অবস্থা দেখে চোখে জল আসবে! আলোর ভিড়ে ‘সমাজের অন্ধকার’ তুলে ধরেছে এই মণ্ডপ
সোসাইটির তরফে স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, “ওরা সবসময় কাজে ব্যস্ত থাকে। অনেকসময় ছুটি পায়না, তাই ওদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমাদের সোসাইটির বোনেরা ফোঁটা দিল।” ভাইফোঁটার দিন সকালে কাটোয়া শহরের সংস্কৃত চক্র প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় এক গণ ভাইফোঁটার অনুষ্ঠান। দিদি বোনেরা সকল নিয়ম রীতি মেনে ডেলিভারি বয়দের কপালে ফোঁটা দেন, হাতে রাখেন উপহার সামগ্রী এবং সকলকে মিষ্টিমুখ করান।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রাঙ্গণ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এক উষ্ণ, পারিবারিক আবহ। যেখানে নেই রক্তের সম্পর্ক, তবু আছে ভালবাসা, শ্রদ্ধা ও মানবতার বন্ধন। ডেলিভারী বয় কৌশিক হাজরা বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের খুবই ভাল লেগেছে। আমাদের জন্য এতটা ভাবার কারণে আমরা ধন্য। এটা খুব ভাল একটা উদ্যোগ।” মানবিকতার এই ছোঁয়ায় কাটোয়ার সংস্কৃত চক্র প্রাঙ্গণ যেন হয়ে উঠল এক পরিপূর্ণ পরিবারের মিলনক্ষেত্র, যেখানে উৎসব মানে কেবল আনন্দ নয়, সমাজের প্রতিটি পরিশ্রমী মানুষের পাশে থাকার বার্তাও।