আরও পড়ুন: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে কাটমানি দিতে হচ্ছে! কৃষকদের অভিযোগে তোলপাড়
শুক্রবার মঙ্গলকোটের এই হাসপাতালের পরিকাঠামো পরিদর্শনে আসেন পূর্ব বর্ধমান জেলার সিএমওএইচ জয়রাম হেমব্রম, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামা প্রসন্ন লোহার, মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী, মঙ্গলকোটের বিডিও সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ। সিএমওএইচ জয়রাম হেমব্রম পরে বলেন, আমরা পুরো পরিকাঠামো ঘুরে দেখলাম। এই হাসপাতালে ৫০ বেডের অনুমোদন আছে। কিন্তু এখন আমরা ৩০ বেডে রান করছি। এবার কীভাবে হাসপাতালের পুরো পরিকাঠামো ভাল ভাবে চালু করা যায়, সমস্ত খামতি মেটানো যায় সেটার জন্যই এই পরিদর্শন।
advertisement
উল্লেখ্য, দৈনিক বহু রোগী আসেন এই হাসপাতালে নিয়মিত পরিষেবা নিতে। হাসপাতালের তরফ থেকে পরিষেবাও ঠিকঠাক দেওয়া হয়। কিন্তু সমস্যাটা হল যেখানে ১২ জন চিকিৎসকের থাকার কথা সেই জায়গায় হাসপাতালে আছে মাত্র ৪ জন চিকিৎসক। ২৫ জন নার্সিং স্টাফ থাকার কথা, কিন্তু আছে মাত্র ৮ জন। জিডিএ স্টাফ থাকার কথা ২৫ জন, কিন্তু আছে মাত্র ৩ জন।
হাসপাতালে কোনও ফেসিলিটি ম্যানেজার নেই, পাবলিক হেলথ নার্স নেই, রেডিও ডায়াগনস্টিকের কোনও টেকনিশিয়ান নেই, ইসিজি টেকনিশিয়ানও নেই। এমনকি হাসপাতাল পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কোনও ঝাড়ুদার পর্যন্ত নেই। এই হাসপতালের নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সও নেই। সব মিলিয়ে যেন নেই রাজ্য। তবে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খুব দ্রুত যাবতীয় খামতি মিটিয়ে এই হাসপাতালের আধুনিকীকরণের কাজ শুরু হবে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এদিনের এই পরিদর্শনের পর খুশি হয়েছেন এলাকার স্থানীয় মানুষজন, রোগী সহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । সিঙ্গত গ্রামীণ হাসপাতালের সুপার অমিত কুমার রক্ষিত জানিয়েছেন, তিনিও এবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন যে হয়তো এবার হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নত হবে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী