অবশেষে বৃষ্টি নামায় কাটল সঙ্কট, সুরাহা হল কৃষকদের। উল্লেখ্য, পশ্চিমবাংলার প্রধান অর্থকরী ফসল পাট সব থেকে বেশি চাষ হয় মুর্শিদাবাদ জেলায়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ কৃষক এই চাষের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে থাকেন। প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয় এই জেলায়।
আরও পড়ুন: বিরল প্রজাতির ৪টি সোনালি লেঙ্গুর উদ্ধার, পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার ৬
advertisement
চাষিদের কথায়, বর্ষাকালে পাট কেটে চাষিরা নদী, নালা, খাল, বিল, ডোবায় জাক দেন যা পাট পচানো হয়। এর জন্য দরকার হয় বিপুল পরিমাণ জল। বর্ষাকালে ভাল বৃষ্টি হলে তবেই সেটা সম্ভব। আর তাই টানা বৃষ্টিতে পুকুর, জলাশয়ে জল জমতেই মুখে হাসি পাট চাষিদের। যদিও চলতি বছর বর্ষার শুরুতে তেমন একটা বৃষ্টি না হওয়ায় আশঙ্কায় ভুগছিলেন চাষিরা। কিন্তু এবার পরিস্থিতি বদলানোয় তাঁরা খুশি। মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকাজুড়ে চাষিদের ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। সকলেই পাট গাছ কেটে তা চাষের মাঠে জমা জলে ডুবিয়ে পচানোর কাজে ব্যস্ত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ডোমকল, সাগরপাড়ায় দেখা গেল কৃষকরা পাট পচানোর পর আঁশ ছাড়াতে ব্যস্ত। পাট চাষ করতে বিঘায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা খরচ হয়। সাধারণত ২৩-২৫ দিনের মত সময় লাগে পাট পচতে। তারপর সেটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন জুট মিলে পাঠানো হয়।
কৌশিক অধিকারী