এদিকে জোয়ারের জন্য নদীর জল বাড়তে থাকে। তাই রাজু, সঞ্জিতদের সঙ্গে নিয়ে চিত্রক, সুমন্ত, রঘুনাথ শুশুকের মৃতদেহটি তুলে নিয়ে আসে একটু উপরে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। বন বিভাগের উলুবেড়িয়া রেঞ্জের কর্মীরা উপস্থিত হয়, মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় ময়না তদন্তের জন্য।
আরও পড়ুন: গরমের ছুটিতে তো কি, স্কুল কামাই করে না পড়ুয়ারা! কেন জানলে অবাক হবেন
advertisement
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণকারী চিত্রক প্রামানিক বলেন, “গাঙ্গেয় শুশুক বা গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন ভারতবর্ষের জাতীয় জলজ প্রাণী। কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে সারা ভারতবর্ষে এই প্রাণীর সংখ্যা কত, তার জন্য সমীক্ষা চালানো হয়। হাওড়া জেলার মানকুর সংলগ্ন এই রূপনারায়ণ নদীতে গাঙ্গেয় শুশুক ভাল রকম দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্রায় সময়ই মাছ ধরার ট্রলারের আঘাতে বা মাছ ধরার জালে আটকে এদের মৃত্যু ঘটছে। দ্রুত গ্যাঞ্জেটিক ডলফিনের সংখ্যা কমছে। এটা পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর। মৎস্যজীবী দের মধ্যে আরও বেশি করে সচেতনতা শিবির করতে হবে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বন বিভাগের উলুবেড়িয়া রেঞ্জের রেঞ্জার রাজেশ মুখার্জী জানান, “কি কারণে শুশুকটির মৃত্যু হল, তা দেখতে দেহটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই এলাকায় বন দফতরের পক্ষ থেকে সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হবে”।
রাকেশ মাইতি





