এর ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের যেমন ভোগান্তি হচ্ছে, তেমনই সমস্যায় পড়ছেন হাসপাতালের কর্মীরাও। হাসপাতালের কোয়ার্টার এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। কোয়ার্টারে যাওয়ার রাস্তাও এখন পুরোপুরি জলের তলায়। চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা বাধ্য হয়ে নোংরা জল পেরিয়ে হাসপাতালে আসা-যাওয়া করছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই সমস্যা নতুন নয়। প্রায় প্রতিবছর বর্ষার সময় এভাবেই জল জমে থাকে, কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে।
advertisement
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে একটি খাল। সেই খালের উপর গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ নির্মাণ। তাছাড়াও আশেপাশের বাজার ও দোকানগুলির সমস্ত আবর্জনা সরাসরি সেই খালের মধ্যেই ফেলা হয়। ফলস্বরূপ খালের স্বাভাবিক জলপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে, জল বেরোতে পারছে না। এর ফলে খাল উপচে জল এসে পড়ছে হাসপাতালের সামনে ও চারপাশে।
আরও পড়ুনঃ মাটির বাড়ি মেরামত করতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি! হঠাই ধসে পড়ল…! অকালে চলে গেল তরুণ তাজা প্রাণ
বর্ষার সময় একটু বৃষ্টি হলেই হাসপাতালের চারপাশে জল জমে যায়। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, এখন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের নিরাপত্তা এবং চিকিৎসা পরিষেবা দুটোই বিপন্ন হয়ে পড়েছে।একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, ‘প্রতিদিনই জল জমে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। রোগী ও চিকিৎসক সকলেরই অসুবিধা হচ্ছে। আমরা বারবার বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, খালের অবৈধ দখল ও বর্জ্য ফেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
খুব শীঘ্রই নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এক আধিকারিক। কিন্তু ততদিন পর্যন্ত জলমগ্ন এই অবস্থায় কীভাবে চলবে হাসপাতালের কাজ – সেই প্রশ্ন এখন স্থানীয়দের মনে। প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে দাসপুর গ্রামীণ হাসপাতাল আরও বড় স্বাস্থ্যঝুঁকির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।