বদলে দিয়েছে তথাকথিত বিদ্যালয়ের চলমান পঠন-পাঠনকে। শীতের দিন। সেই সকাল ১১ টা থেকে বিদ্যালয় শুরু, শেষ প্রায় রাত্রি আটটায়। তবে এদিন বিদ্যালয়ে পড়াশোনা নয়, ছাত্র-ছাত্রীরা পড়ার ছলে শিখেছে নানান জিনিস। দেখেছে মহাকাশ, জেনেছে টেলিস্কোপ সম্পর্কে। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানের নানা বিষয়ের মধ্যে যেমন ম্যাজিক, সচেতনতার জন্য কথা বলা পুতুল, এছাড়াও গল্প লেখা কবিতা লেখা সহ নানান জিনিস উপলব্ধি করেছে তারা।
advertisement
আরও পড়ুন : কলকাতা দেখার ইচ্ছায় বাড়ি থেকে হাওয়া, হাতের টাকা শেষ হতেই কেলঙ্কারি কাণ্ড! পুলিশের উদ্যোগে ফিরল ৩ পড়ুয়া
বিদ্যালয় যেখানে চারটার সময় ছুটি হয়, সেখানে পড়ুয়ারা থাকল রাত্রি আটটা পর্যন্ত। এরপরেও যেন ক্লান্তি নেই তাদের। ১৪ নভেম্বর শিশু দিবস। তথাকথিত পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার বাইরে তাদের মানসিক বৃদ্ধি, তাদের সৃজনশীল ভাবনা, সমাজ সম্পর্কে তাদের সচেতনতা এবং বিজ্ঞানের নানা বিষয় তাদের সামনে তুলে ধরা হয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিদ্যালয়ে কাটাল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার বেজদা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। প্রতিদিনই দশটা থেকে চারটা পর্যন্ত বিদ্যালয় হয় পাঠ্যপুস্তকের পড়াশোনা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এদিন পড়াশোনার বাইরে গিয়েও খেলার ছলে পড়াশোনা করেছে খুদে পড়ুয়ারা। আর এতে বেজায় খুশি তারা। তথাকথিত ধ্যান ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্য দিয়ে গোটা সমাজকে সচেতন করা এবং ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা ও সংস্কৃতি চর্চার ভাব তৈরি করতে এই উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ে এই ভাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।





