কথিত, ঐশ্বর্যমণ্ডিত সপ্তগ্রামের রাজার একমাত্র পুত্র ছিলেন রঘুনাথ দাস গোস্বামী। তিনি শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর মহিমার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে বিপুল ঐশ্বর্য ও তার রূপসী পত্নীকে পরিত্যাগ করেন। মহাপ্রভুর দেখা পেতে তিনি নানা জায়গায় ঘুরতে থাকেন । একদিন প্রভু নিত্যানন্দ পানিহাটি গ্রামে এসেছেন শুনে রঘুনাথ দাস গোস্বামী সেখানে যান। সেখানে ভক্তদের ভিড় থাকায় তিনি দর্শনলাভের জন্য আকুল আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকেন।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আবহাওয়া আরও সাংঘাতিক হবে! কত ডিগ্রি ছোঁবে পারদ? আশঙ্কার বাণী শোনাল হাওয়া অফিস
গঙ্গার তীরে যেখানে ভক্তদের সাথে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু বসে ছিলেন, সেখানে তিনি উপস্থিত হয়ে দূর থেকে দেখলেন গঙ্গাতট আলোকিত করে একটি বৃক্ষমূলে ভক্তপরিবৃত হয়ে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু বসে আছেন। শ্রীরঘুনাথ তাঁকে দেখেই দূর থেকে ষাষ্টাঙ্গে দণ্ডবৎ জানান।
আরও পড়ুনঃ ঘনীভূত হচ্ছে ২ শক্তিশালী সাইক্লোন, কোন পথে তাণ্ডব চালাবে তেজ ও বিপর্যয়? রইল বিরাট আপডেট
জমিদার শ্রীগোবর্ধন দাসের পুত্র রঘুনাথ পানিহাটিতে এসেছেন, সেই খবর পেয়ে সারা গ্রামে সাড়া পড়ে গেল। ভক্তরা সেই সমাচার শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর শ্রীচরণে নিবেদন করেছিলেন। তিনি রঘুনাথের নাম শুনে বলে ওঠেন, ‘ওরে ছোড়া ! এতদিনে দর্শন দিলি! আয়, আয়, আজ তোরে দণ্ড দেব।’ নিত্যানন্দ প্রভু এ ভাবে আদর করে ডাক দিলেও শ্রীরঘুনাথ দ্বিধায় সঙ্কোচে দূরে দূরে থাকছিলেন। তখন শ্রীনিত্যানন্দ তাঁকে জোর করে কাছে টেনে এনে তাঁর মাথায় তাঁর শ্রীপাদপদ্ম স্পর্শ করান৷ এরপর মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেব উপস্থিত ভক্ত বৃন্দকে বলেছিলেন, রঘুনাথ দাস গোস্বামীকে শাস্তিস্বরূপ এখানে উপস্থিত সকলকে আহার হিসেবে দই চিঁড়ে খাওয়াতে হবে। সেই থেকে প্রতি বছর পানিহাটি মহোৎসব তলা ঘাটে দণ্ড মহোৎসব পালিত হচ্ছে মহা সমারোহে।
বিগত বছরে এই দণ্ড মহোৎসব ঘিরে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, বহু মানুষ পদপৃষ্ঠ হন ভিড়ে। তাই এ বছর প্রশাসনের তরফে বাড়তি সর্তকতা নেওয়া হয়েছে। উৎসব পালনে সকাল থেকেই বহু ভক্তদের ভিড় পানিহাটি মহোৎসবতলা ঘাটে।
Rudra Narayan Roy