গ্রামের সহস্রাধিক বাড়ি এখন জলের তলায়। বুধবারই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছিল সেচ দফতর। কিন্তু জলের তোড়ে সেই কাজ সম্পন্ন হয়নি। ফলে বুধবার রাত এবং বৃহস্পতিবার সকালের জোয়ারে ফের জল ঢুকেছে গ্রামে। বুধবারের বাঁধ মেরামতির সব চেষ্টাই কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাতটি মাটি কাটার যন্ত্র দিয়ে চেষ্টা করা হলেও বাঁধ মেরামতির কাজ সম্পূর্ণ করা যায়নি।
advertisement
রিং বাঁধ দেওয়ার যে চেষ্টা চলছিল তা-ও কার্যত বিফলে গিয়েছে। সেচ দফতরের কর্মীদের দাবি, কোটাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই করা যাবে না। এ দিন সকালে পঞ্চায়েত প্রধান রঞ্জন মণ্ডল, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নীলিমা মণ্ডল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান।
রায়মঙ্গল সুন্দরবনের বড় নদী। বর্ষায় ভয়াল রূপ নেয় এটি। এই নদীর স্রোত অত্যন্ত বেশি। ফলে কোটালে নদীর জল এতটাই বেড়ে যাচ্ছে যে জোয়ারের সময়ে ভাঙা অংশ দিয়ে জল গ্রামের মধ্যে ঢুকে পড়ছে। ভাটায় সেই জল নামছে। ফলে বাঁধের কাজ করা যাচ্ছে না। তবে সেচ দফতরের কর্মীরা চেষ্টা চালাচ্ছেন দ্রুত বাঁধ তৈরি করার যাতে নদীর নোনা জল গ্রামে ঢোকা রোখা যায়।
পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, ‘পাশাপাশি চারটি গ্রামের মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চাষের জমি, পুকুরের মাছ সব নষ্ট হয়েছে। ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এই জল ঢোকা বন্ধ না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করা যাচ্ছে না’।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিডিও বিশ্বরূপ বিশ্বাসের কথায়, ‘প্রাথমিক ভাবে রিং বাঁধ দিয়ে জল আটকানোর চেষ্টা করা হলেও রাতের জোয়ারে ফের জল ঢুকেছে গ্রামে। আমরা নজর রাখছি। পাশাপাশি, যাতে দ্রুত বাঁধ মেরামতি করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে’।