শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সর্বত্র লুঠ করল তারা। পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পালসিটে জাতীয় সড়কে এই ঘটনা ঘটেছে। চারচাকা গাড়ির যাত্রীদের থেকে সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন- ১৮০০ শতকের কেক আজও বড়দিনের বাজার মাতিয়ে রেখেছে…
advertisement
এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে মেমারি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ছোট্টু দাস ওরফে মিনি। তাঁর বাড়ি বর্ধমানের গুডস সেড রোড এলাকায়। এই ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও হদিশ পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারচাকা গাড়িটিতে ইট এসে পড়লে গাড়িটি দাঁড়িয়ে যায়। তখনই চার পাঁচ জন দুষ্কৃতি গাড়ির যাত্রীদের কাছ থেকে পঁচিশ হাজার টাকা ও সোনার গহনা নিয়ে চম্পট দেয়। কলকাতা থেকে তারাপীঠ যাচ্ছিল গাড়িটির যাত্রীরা। গাড়িতে এক শিশু,এক মহিলা সহ পাঁচজন ছিলো।শিশুর মাথায় বন্দুক ধরে খুন করার ভয় দেখিয়ে লুঠপাট চালায় দুষ্কৃতিরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাতে ১৯ নং জাতীয় সড়কে পালসিট টোল প্লাজার কাছে কোলকাতা থেকে তারাপীঠের দিকে যাওয়া একটি চারচাকা গাড়িতে ইট ছুড়লে গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। গাড়িটি রাস্তার ধারে দাঁড়াতেই দুষ্কৃতিরা সেই গাড়িটিকে ঘিরে ফেলে। এরপর তারা ওই শিশুর মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে লুঠপাট চালায়। বেশ কয়েক মিনিট ধরে অপারেশন চালিয়ে চম্পট দেয় তারা। এরপর যাত্রীরা মেমারি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
আরও পড়ুন- বেড়াতে এসেও নেই শান্তি, রয়েছে বাঘিনীর আতঙ্ক , কী বলছেন পর্যটকেরা!
চাঞ্চল্যকর এই অপরাধের খবর পেয়ে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। মেমারি থানা জোরদার তদন্ত শুরু করে। এরপরই এই ঘটনায় ছোট্টু দাস ওরফে মিনিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে বুধবার বর্ধমান আদালতে তোলা হয়।বাকী দুষ্কৃতীদের ধরতে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।