গাঙ্গেয় সুন্দরবনের নিচু এলাকার কৃষিজমি ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তাই জমিতে পাকা ফসল থাকলে, তা অবিলম্বে কেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চাষিদের। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে পরিস্থিতির কথা। জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে দমকা হাওয়ার গতিবেগ পৌঁছে যেতে পারে ৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। সে কারণেই এদিন সকাল থেকেই জেলার উপকূলীয় থানাগুলির পক্ষ থেকে মাইকিং, সচেতনমূলক প্রচারও করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ মঙ্গলে আছড়ে পড়বে মন্থা! ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে পাকা ধান নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা, তড়িঘড়ি মাঠে ফসল কাটা শুরু
মৎসজীবীদের সমুদ্রে নামায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে সব মৎস্যজীবীদের ঘরে ফিরতে বলা হচ্ছে। কৃষি দফতর দ্রুত কৃষকদের পাকা ধান কেটে নেওয়ার কথা বলছে।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস আসতেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমা ও ব্লক স্তরে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। একই সঙ্গে সব ব্লকে যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ সামগ্রী মজুত থাকে সেই নির্দেশও দিয়েছেন জেলাশাসক। প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা কেন্দ্রগুলিকেও।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এদিকে সাম্প্রতিককালে একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবন লাগোয়া এলাকাগুলি। সে কারণেই দুর্বল নদী ও সমুদ্র বাঁধগুলির উপর বিশেষ নজর রাখছে সেচ দফতর। সুন্দরবনের নানা প্রান্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়ে গিয়েছে মেরামতির কাজ।





