আবহাওয়া দফতরের পূর্ব আভাস অনুযায়ী, আমফান বা ইয়াস-কেও ছাপিয়ে যেতে পারে মোকা। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে ঘূর্ণিঝড় মোকা। আর সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে বঙ্গভূমিতেও। এমনি আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের। যদিও সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে, এই ঝড় আছড়ে পড়তে পারে মায়ানমারে। তবে সামান্য দিক পরিবর্তন হলে, আছড়ে পড়তে পারে বাংলায়। সেই ঘূর্ণিঝড়ের ভ্রূকূটির মাঝে গ্রামীণ হাওড়ার উলুবেড়িয়া পৌরসভার অন্তর্গত-২৪ নম্বর ওয়ার্ডের জগদীশপুরের বাঁশতলার মানুষ আতঙ্কে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিঘায় খুলে গেল আকর্ষণের নয়া দিগন্ত! কৌতুহলে পড়িমড়ি করে ছুটছেন পর্যটকরা! আপনি কবে যাচ্ছেন?
হুগলি নদীর উপর দেওয়া বাঁধ বেহাল। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস মেলায় আতঙ্ক গ্রাস করেছে ওই এলাকার মানুষকে। এমতবস্থায় আতঙ্কে দিন পার করছেন হুগলী নদী তীরবর্তী মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় এক বছর সময় ধরে বেহাল ওই অংশের নদী বাঁধ। যে কোনও সময় বড়সড় বিপদের আশঙ্কায় ভুগছে স্থানীয়রা। স্থানীয় শেখ সাইফুল জানান, দেড়-দু বছর আগে বাঁধ ভাঙ্গে। বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে তবে এখনও পুরোপুরি কাজ হয়নি।
আরও পড়ুনঃ শনিবার থেকে ১ মাস মেট্রো পরিষেবায় বিরাট বদল! নয়া টাইমটেবিল দেখে নিন এক ক্লিকে
যে কোনও মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে এলাকা। তাতেই রাতের ঘুম উড়েছে সকলের। স্থানীয়দের দাবি দ্রুত ওই অংশের বেহাল নদী বাঁধটি মেরামত করুক সংশ্লিষ্ট সেচ দফতর। এ প্রসঙ্গে উলুবেড়িয়া পৌরসভার উপ পৌর প্রধান ইনামুর রহমান জানান, এই দুর্যোগকে মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই তৎপর উলিবেড়িয়া পৌরসভা। পৌর প্রধান অভয় কুমার দাস পৌরসভার সমস্ত দফতরকে সঙ্গে নিয়ে আলোচনা করেছেন। পানীয় জল ইলেকট্রিক ডিজাস্টার্ড ম্যানেজমেন্ট এবং এসডিও প্রতিনিধি সঙ্গে নিয়ে আলোচনা। মানুষকে সতর্কবার্তার পাশাপাশি ২৪ ঘন্টা জরুরি অবস্থার ভিত্তিতে সহায়তা কেন্দ্র থাকছে মানুষের স্বার্থে।
রাকেশ মাইতি