সকাল থেকেই তটরেখা জুড়ে ভক্তিমুখর পরিবেশ। হাতে কলসি, ফুল, দুধ, ফল, নিয়ে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ভিড় জমিয়েছেন আম-বাঙালি। মহালয়ার সকালে পিতৃতর্পণ বাঙালির অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী রীতি। ভোরের সূর্যোদয়ের সময় গঙ্গা বা সমুদ্রের ঘাটে দাঁড়িয়ে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জলাঞ্জলি দিয়ে পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। সেই ধারাই প্রতি বছরের মতো এবারও দেখা গেল দিঘা ও মান্দারমনির ঘাটে। পর্যটক ও স্থানীয় মানুষ মিলিয়ে সকাল থেকেই ঢল নামেছিল সমুদ্রের পাড়ে। হাতে পিতলের কলসি, ফুল, দুধ, ফল আর দর্পণ। সমুদ্র তট থেকে ভেসে আসে সংস্কৃত মন্ত্রোচ্চারণ।
advertisement
প্রচণ্ড ভিড় সামলাতে এদিন সকাল থেকেই কড়া নজরদারিতে ছিল প্রশাসন। দিঘা ও মান্দারমনির প্রতিটি ঘাটে মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। প্রস্তুত ছিল বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সমুদ্রে নামার ক্ষেত্রে ছিল সতর্কতা। ভিড় সামলাতে চলতে থাকে মাইকিং। ঘাটে ঘাটে পর্যটকদের সতর্ক করা হয়, গভীরে যেতে নিষেধ করে পুলিশ। মহালয়ার পুণ্য লগ্নে প্রতিবারই ভিড় থাকে তীব্র। তবে এ বছর পুজোকে সামনে রেখে মানুষের ভিড় ছিল আরও বেশি। অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে হাজির হয়েছেন। দিঘা ও মান্দারমনির হোটেলগুলিতেও রবিবার বুকিং ফুল।
আরও পড়ুনঃ পলি জমে নদীতে চড়া, কোমর সমান কাদা নিয়ে পারাপার! নরকযন্ত্রণায় ভুগছে সুন্দরবনের ‘এই’ এলাকা
মহালয়ার ভোরের তর্পণ কেবল একটি আচার নয়, এটি বাঙালির আবেগ ও ঐতিহ্যের অঙ্গ। দিঘা-মান্দারমনির ঘাটে দাঁড়িয়ে পিতৃপক্ষের অবসান আর দেবীপক্ষের সূচনা একসঙ্গে উপলব্ধি করলেন হাজার হাজার মানুষ। পূর্বপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা আর মা দুর্গার আগমনের আনন্দ মিলেমিশে তৈরি করেছিল এক অনন্য আবহ।