পলি জমে নদীতে চড়া, কোমর সমান কাদা নিয়ে পারাপার! নরকযন্ত্রণায় ভুগছে সুন্দরবনের 'এই' এলাকা

Last Updated:
Sundarban River: দিনের পর দিন পলি পড়ে অনেকটাই মজে গিয়েছে সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীর শাখা নদী হানা। আর এর ফলে খেয়া পারাপারের জন্য সমস্যায় পড়ছেন গোসাবার শম্ভুনগর থেকে রাধানগর ও উত্তর ২৪ পরগনার দাউদপুর এলাকার লোকজন।
1/5
দিনের পর দিন পলি পড়ে অনেকটাই মজে গিয়েছে সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীর শাখা নদী হানা। আর এর ফলে খেয়া পারাপারের জন্য সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। গোসাবার শম্ভুনগর থেকে রাধানগর ও উত্তর ২৪ পরগনার দাউদপুর এলাকার লোকজন হানা নদী নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)
দিনের পর দিন পলি পড়ে অনেকটাই মজে গিয়েছে সুন্দরবনের বিদ্যাধরী নদীর শাখা নদী হানা। আর এর ফলে খেয়া পারাপারের জন্য সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয় মানুষ থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রীরা। গোসাবার শম্ভুনগর থেকে রাধানগর ও উত্তর ২৪ পরগনার দাউদপুর এলাকার লোকজন হানা নদী নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)
advertisement
2/5
যেতে গেলে ডুগডুগি খেয়া পারাপার করতে হয়। কিন্তু হানা নদীতে চড়া পড়ে যাওয়ার কারণে ভাটার সময় নদীর জল অন্তত তিনশো ফুট নেমে যায়। এই সময় নদী পারাপার করতে গেলে চরম সমস্যায় পড়তে হয় সকলকেই। ফলে কখনও হাঁটু সমান তো কখনও কোমর সমান কাদা ভেঙে পৌঁছতে হয় পাড়ে।
যেতে গেলে ডুগডুগি, খেয়া পারাপার করতে হয়। কিন্তু হানা নদীতে চড়া পড়ে যাওয়ার কারণে ভাটার সময় নদীর জল অন্তত তিনশো ফুট নেমে যায়। এই সময় নদী পারাপার করতে গেলে চরম সমস্যায় পড়তে হয় সকলকেই। ফলে কখনও হাঁটু সমান তো কখনও কোমর সমান কাদা ভেঙে পৌঁছতে হয় পাড়ে।
advertisement
3/5
গোসাবা ব্লক থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ব্লক-সহ অন্যান্য প্রান্তে যাওয়ার জন্যও এই নদীপথ ব্যবহার করতে হয় অনেককে। জোয়ারের সময় নদীতে জল থাকলে খেয়া পারাপারের সমস্যা হয় না। তবে ভাঁটা হলে নদীর জল অনেকটা নেমে যায়, ফলে তখন যাতায়াত করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। 
গোসাবা ব্লক থেকে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি ব্লক-সহ অন্যান্য প্রান্তে যাওয়ার জন্যও এই নদীপথ ব্যবহার করতে হয় অনেককে। জোয়ারের সময় নদীতে জল থাকলে খেয়া পারাপারের সমস্যা হয় না। তবে ভাঁটা হলে নদীর জল অনেকটা নেমে যায়, ফলে তখন যাতায়াত করতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। 
advertisement
4/5
এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে বিগত সাত আট বছর ধরে এই সমস্যা অনেকটা বেড়েছে। নদীতে ক্রমাগত চড়া পড়ে যাওয়ার কারণে ভাঁটার সময় নদী পারাপার করতে গিয়ে নরক যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শম্ভুনগর দ্বীপ থেকে রাধানগর হাইস্কুলে যাওয়ার জন্য অনেককেই প্রতিদিন এই খেয়া পারাপার করতে হয়। ভাঁটাতে জল অনেক নিচে থাকলে এই কাদা ভেঙে যাওয়ার সময় বিপদও ঘটে। 
এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে বিগত সাত আট বছর ধরে এই সমস্যা অনেকটা বেড়েছে। নদীতে ক্রমাগত চড়া পড়ে যাওয়ার কারণে ভাঁটার সময় নদী পারাপার করতে গিয়ে নরক যন্ত্রণার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। শম্ভুনগর দ্বীপ থেকে রাধানগর হাইস্কুলে যাওয়ার জন্য অনেককেই প্রতিদিন এই খেয়া পারাপার করতে হয়। ভাঁটাতে জল অনেক নিচে থাকলে এই কাদা ভেঙে যাওয়ার সময় বিপদও ঘটে। 
advertisement
5/5
তবে আশার কথা শুনিয়েছেন গোসাবার বিডিও। তিনি বললেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই খেয়ার সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি প্রশাসনিক স্তরে এখানে সুদীর্ঘ জেটি-সহ সংলগ্ন নদী বাঁধ মেরামতির কাজের সম্মতি মিলেছে। আনুমানিক ১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই দ্রুত টেন্ডার সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয়ে যাবে। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)
তবে আশার কথা শুনিয়েছেন গোসাবার বিডিও। তিনি বললেন, দীর্ঘদিন ধরেই এই খেয়ার সমস্যা রয়েছে। সম্প্রতি প্রশাসনিক স্তরে এখানে সুদীর্ঘ জেটি-সহ সংলগ্ন নদী বাঁধ মেরামতির কাজের সম্মতি মিলেছে। আনুমানিক ১ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ হলেই দ্রুত টেন্ডার সম্পন্ন করে কাজ শুরু হয়ে যাবে। (তথ্য ছবি সুমন সাহা)
advertisement
advertisement
advertisement