শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে সাত’টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বালেশ্বরের কাছাকাছি। দুর্ঘটনায় একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা সামনে আসতেই অস্থিরতা বাড়তে থাকে পরিবারের মধ্যে। কারও মেয়ে, কারও ছেলে, কারও বাবা-মা বা দাদার অপেক্ষায় রাত জাগল ওঁরা।
আরও পড়ুনঃ হাত-পা ছিটকে পড়েছে চারিদিকে, দলা পাকানো দেহের সারি, উদ্ধারে নামল সেনার হেলিকপ্টার
দুর্ঘটনা ঘটা মাত্র দ্রুততার সঙ্গে একাধিক হেল্পলাইন খোলা হয় রেলের তরফ থেকে। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার হেল্প ডেস্ক। যেখানে এসে সরাসরি দুই ট্রেনের যাত্রীরা বাড়ির লোক রেলের সাহায্য নিতে পারবে। রাত যত গভীর হয়, ততই উদ্বেগ বাড়তে থাকে। একদিকে তৎপরতার সঙ্গে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্য শেষ হয়েছে। অন্যদিকে, হাওড়া রেল স্টেশনের হেল্পডেস্কের সামনে ভিড় করে রয়েছে যাত্রী পরিবার আত্মীয়রা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দুর্ঘটনার ১ সেকেন্ড আগে কী ঘটেছিল? হাড়হিম করা অভিজ্ঞতা করমণ্ডল এক্সপ্রেসের যাত্রীর
স্টেশনে যাত্রীদের আত্মীয়রা এদিন কেউ তাঁর প্রিয়জনের অপেক্ষায়, কেউ দাদা-ভাই, ছেলে বা মেয়ের অপেক্ষায়। রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে স্পেশ্যাল ট্রেন পাঠানো হয়েছে। তাতে করে যাত্রীদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হচ্ছে। কখন ফিরবে প্রিয় জন, সেই মুহূর্তে অপেক্ষারত মানুষের কাছে এক ঘণ্টা যেন এক যুগের মতো। কেউ জানালেন, ফোনে কথা বলা সম্ভব হচ্ছে, তাতেই যেন স্বস্তি। কেউ জানান শেষ বার কথা হয়েছে দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ আগে। তবে এই মুহূর্তে ট্রেন ঢোকায় যাঁদের পরিবারের সদস্যরা ফিরে এসেছেন তাঁরা স্বস্তিতে।
যশবন্তপুর এসএমভিবি এক্সপ্রেসের যাত্রী প্রভাত মণ্ডল বর্ধমানের কেতুগ্রামের বাসিন্দা, বেঙ্গালুরু থেকে হাওড়া ফিরছিল। তাঁর মাথায় ও পায়ে আঘাত লেগেছে। স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে যাওয়ারর চেষ্টা করছেন তাঁর মামা সন্দীপ কুমার বড়াই। তিনি জানান, আমরা ওখানে যেতে চাইছি। রেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। খড়গপুর পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব হবে বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনা জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল তাতেই, বহু যাত্রীকে দেখা গেল স্টেশনে অপেক্ষা করতে তাদের মধ্যে অনেকেরই প্রয়োজনীয় কাজ বা চিকিৎসার জন্য যাওয়ার কথা ছিল। ট্রেন বাতিলের কারণে আটকে পড়ছেন। তামিলনাড়ুর একটি পুরুষ ভলি দলের সদস্যরা আটকে পড়েন দুর্ঘটনার জেরে। বাংলায় টুর্নামেন্ট খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেন বাতিলের কারণে হাওড়া স্টেশনে আটকে পড়েন।
রাকেশ মাইতি