প্রবল বৃষ্টিতে জল জমার সমস্যা প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ী দীপঙ্কর রায় বলেন, রাস্তা দিয়ে গাড়ি গেলে জমা জল দোকানের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে। রাস্তা পুরো জলে ডুবে গেছে। বৃষ্টি হলেই এখানে জল দাঁড়িয়ে যায়। ড্রেন পুরো জ্যাম। কালনার সব জায়গায় একই অবস্থা। যাওয়া আসার জন্য মানুষজনের খুবই অসুবিধা হচ্ছে। আর শুধু এখানে না , চারিদিকে সব জায়গাতেই অসুবিধা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অবিরাম বর্ষণে ভাসছে বর্ধমান, জলের তলায় একের পর এক ওয়ার্ড
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই দৃশ্য মোটেও নতুন নয়। প্রতিবছর বর্ষারকাল এলেই কালনা শহরের প্রতিটি মানুষকে দুর্ভোগের মুখোমুখি হতে হয়। ভোগান্তির এই চিত্র যেন রুটিনে পরিণত হয়েছে। কারোর দোকান বন্ধ, কারোর দৈনন্দিন যাতায়াত বন্ধ, কেউ আবার পড়ুয়াদের স্কুল-কলেজে পাঠানো নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন। শহরের বাসিন্দাদের দাবি, এতদিন ধরে নানাভাবে এই সমস্যার কথা জানানো হলেও আজও কোনও স্থায়ী সমাধান হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দা মিন্টু ব্যানার্জি বলেন, সারাবছরই জল জমে যায়। আমার জন্ম থেকে এইরকমই চলছে। এর কোনও সুরাহা আজ পর্যন্ত হল না। বর্ষা এলেই এই রকম হয়ে যায়। কাল রাত থেকে টানা বৃষ্টি হয়েছে।চারিদিকে জলে ভর্তি। দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। রাস্তা এবড়ো খেবড়ো।
প্রতিবারই স্থানীয় প্রশাসনের তরফে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। জল জমে গেলে কোথাও কোথাও পাম্প বসানো, কোথাও সাময়িকভাবে নালা পরিষ্কার করা হয়। কিন্তু তাতে সমস্যার মূল সমাধান হয় না। কয়েকদিনের মধ্যে জল নামলেও পরবর্তী বৃষ্টিতেই আবার একই ছবি দেখা দেয়। শহরবাসীদের কথায়, এভাবে বছর বছর জলযন্ত্রণা সহ্য করা আর সম্ভব হচ্ছে না। জমা জলের কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে সাধারণ মানুষ ও পড়ুয়ারা। স্কুল-কলেজে যাওয়া কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে উঠছে। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে কেউ পড়ে যাচ্ছেন, কেউ আবার অসুস্থ হচ্ছেন। দোকানপাটে জল ঢুকে যাচ্ছে, ফলে ব্যবসায়ীরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলায় কথা বলায় কটকের থানায় ৫-৬ দিন আটকে রেখে বেধড়ক মার! চিকিৎসা করাতে গিয়েছিল যুবক
জরুরি পরিষেবাও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, এই সমস্যার সমাধানে একাধিকবার দাবি জানানো হলেও আজও কার্যকর কোনও পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এখন দেখার এই প্রসঙ্গে প্রশাসন কী ভূমিকা নেয়।