অবিরাম বর্ষণে ভাসছে বর্ধমান, জলের তলায় একের পর এক ওয়ার্ড

Last Updated:
অবিরাম বর্ষনে জলমগ্ন বর্ধমান পৌরসভার একাধিক ওয়ার্ড।কয়েকটি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরেও জল প্রবেশ করেছে।সব মিলিয়ে নাজেহাল অবস্থা জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের।
1/6
অবিরাম বর্ষণে জলমগ্ন বর্ধমান পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড।কয়েকটি ওয়ার্ডে বাসিন্দাদের বাড়ির ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। সব মিলিয়ে একেবারে নাজেহাল অবস্থা জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের।[ছবি ও তথ্য: সায়নী সরকার]
advertisement
2/6
বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লি, বাবুরবাগ, লক্ষ্মীপুর মাঠ, বাজেপ্রতাপপুর, শ্যামলাল, বাতানপাড়া, রসিকপুর, মিঠাপুকুর, সাহাচেতন, টিকরহাট, শূলিপুকুর, খালুইবিলমাঠ, পাড়াপুকুর, নীলপুর আমতলা, বেচারহাট সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লি, বাবুরবাগ, লক্ষ্মীপুর মাঠ, বাজেপ্রতাপপুর, শ্যামলাল, বাতানপাড়া, রসিকপুর, মিঠাপুকুর, সাহাচেতন, টিকরহাট, শূলিপুকুর, খালুইবিলমাঠ, পাড়াপুকুর, নীলপুর আমতলা, বেচারহাট সহ একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
advertisement
3/6
জল থৈ থৈ অবস্থা শহরের বহু রাস্তায়। হাঁটু সমান জল জমে আছে। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। শহরজুড়ে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অভিযোগ দুর্গতদের।
জল থৈ থৈ অবস্থা শহরের বহু রাস্তায়। হাঁটু সমান জল জমে আছে। ফলে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন নিত্যযাত্রীরা। শহরজুড়ে নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, অভিযোগ দুর্গতদের।
advertisement
4/6
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী রায় জানান, সকাল থেকে একইভাবে জল জমে রয়েছে। এই জমা জল পেরিয়ে হেঁটে হেঁটে দৃষ্টিহীন স্বামীকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে। টোটোও যাচ্ছে না।
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী রায় জানান, সকাল থেকে একইভাবে জল জমে রয়েছে। এই জমা জল পেরিয়ে হেঁটে হেঁটে দৃষ্টিহীন স্বামীকে নিয়ে চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হচ্ছে। টোটোও যাচ্ছে না।
advertisement
5/6
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা দেবদাস রক্ষিত বলেন, দেখতেই পাচ্ছেন জল জমে কী অবস্থা হয়েছে। ড্রেনগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। গতকাল রাত আটটার পর বৃষ্টি কমে গেছে, তাও এখনও জল নামেনি। ড্রেনটা কভার করা হয়েছে, কিন্তু কোনরকম পরিষ্কার করা হয় না। কভার হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব শেষ। ড্রেনগুলো দেখলে দেখা যাবে সবই নোংরায় ভর্তি, পরিষ্কার হয় না।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা দেবদাস রক্ষিত বলেন, দেখতেই পাচ্ছেন জল জমে কী অবস্থা হয়েছে। ড্রেনগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না। গতকাল রাত আটটার পর বৃষ্টি কমে গেছে, তাও এখনও জল নামেনি। ড্রেনটা কভার করা হয়েছে, কিন্তু কোনরকম পরিষ্কার করা হয় না। কভার হয়ে যাওয়ার পর দায়িত্ব শেষ। ড্রেনগুলো দেখলে দেখা যাবে সবই নোংরায় ভর্তি, পরিষ্কার হয় না।
advertisement
6/6
যদিও শহরবাসীদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, এটা ঠিক কথা নয়। গতকাল যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এবং এর বেশ কয়েকদিন টানা যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তারপরও বর্ধমান শহরে কোথাও একটা গোটা দিন বা ৫ ঘণ্টা জল দাঁড়িয়ে আছে এরকম ঘটনা ঘটেনি। বৃষ্টি পড়ছে পনেরো মিনিট, আধঘণ্টা জল থাকত না থাকতে বেরিয়ে যাচ্ছে। এত পরিমাণ জল এর আগে আমরা দেখিনি। এর ফলে রাস্তার পাথর উঠে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, বর্ধমান শহরে ৬৩ টি রাস্তা সরাইয়ের বরাত দেওয়া হলেও বৃষ্টি না থামলে কাজ শুরু করতে চাইছে না ঠিকাদাররা।
যদিও শহরবাসীদের এই অভিযোগ প্রসঙ্গে বর্ধমানের পুরপ্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার বলেন, এটা ঠিক কথা নয়। গতকাল যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এবং এর বেশ কয়েকদিন টানা যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তারপরও বর্ধমান শহরে কোথাও একটা গোটা দিন বা ৫ ঘণ্টা জল দাঁড়িয়ে আছে এরকম ঘটনা ঘটেনি। বৃষ্টি পড়ছে পনেরো মিনিট, আধঘণ্টা জল থাকত না থাকতে বেরিয়ে যাচ্ছে। এত পরিমাণ জল এর আগে আমরা দেখিনি। এর ফলে রাস্তার পাথর উঠে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, বর্ধমান শহরে ৬৩ টি রাস্তা সরাইয়ের বরাত দেওয়া হলেও বৃষ্টি না থামলে কাজ শুরু করতে চাইছে না ঠিকাদাররা।
advertisement
advertisement
advertisement