এই প্রতিযোগিতার সুযোগ নিয়ে বাজারে গত প্রায় দু’দশক ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে চাইনিজ মাঞ্জা সুতো। তাতেই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। আগে সুতির মাঞ্জা সুতো ব্যবহার হত, তার বিপদ বা ভয়াবহতা অনেক কম। সুতির সুতো নাইলন সুতোর মতো ধারালো হলেও অল্প মেয়াদি। কিন্তু নাইলন সুতো মাসের পর মাস গাছে পালায় আটকে থাকছে, তাতেই বাড়ছে বিপদ। মূলত কিছু মানুষ ব্যবসায় লাভের জন্য মানুষকে উৎসাহিত করছে এই নাইলন সুতো ব্যবহারে। এই নাইলন সুতো প্রতিনিয়ত বিপদে ফেলছে পশুপাখি ও অবোলা জীবজন্তু। সুতো গলায় জড়িয়ে মৃত্যুর মুখে পড়ছে। এই সুতোর জেরে দুর্ঘটনাও বাড়ছে। শক্ত নাইলন সুতোয় আটকে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ে বিভিন্ন পাখি থেকে বন্যপ্রাণী।
advertisement
আরও পড়ুন: পুকুরের মাছ বাঁচাতে গিয়ে ছুটে আসছে নতুন বিপদ! ভারসাম্য ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ছে পরিবেশ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও ২০১৬ সালে জাতীয় পরিবেশ আদালত চিনা মাঞ্জা সুতো’কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। যেখানে বলা হয়, কেউ এই সুতো বেচা কেনা করলে তার জরিমানা ও জেল দুই হতে পারে। কিন্তু সেই নিয়ম উপেক্ষা করে মুড়ি-মুরকির মত বিক্রি হচ্ছে চিনা মাঞ্জা সুতো। প্রতি বছর বাড়ছে নাইলন সুতোর ব্যবহার। এবার এলাকায় নাইলন সুতো বিক্রি ও ব্যবহার বন্ধ করতে একদল মানুষ। মকর সংক্রান্তির আগের থেকে শুরু হয়ে মকর সংক্রান্তির কয়েকদিন পর পর্যন্ত ঘুড়ি উড়তে বেশি দেখা যায়। সেই দিক গুরুত্ব রেখে ‘ফিউচার ফর নেশন ফাউন্ডেশন’ এর সদস্যরা অভিযান শুরু করেন। তাদের সঙ্গে এই অভিযানে পা মেলান বহু সাধারণ মানুষ। হাওড়া জগৎবল্লভপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে নাইলন সুতো বিক্রেতা এবং সুতো ব্যবহারকারী মানুষকে সচেতন করেন।
এই বিষয়’কে সামনে বিভিন্ন দফতরে লিখিত জানান হয়। স্ট্রিট কর্ণার ব্যানার পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতা। স্থানীয় এলাকার পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতাদের কাছে পৌঁছে চিনা মাঞ্জা সুতো বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক রাজদূত সামন্ত। মানবাধিকার কর্মী হিরন্ময় পরিতোষ সামন্ত, সুমন মান্না সহ আরও অনেকে। এ প্রসঙ্গে ফিউচার ফর নেচার ফাউন্ডেশন সম্পাদক শুভজিৎ ঘোষ বলেন, “পরিবেশ কর্মীরা এই অভিযান শুরু করলেও বহু সাধারণ মানুষ এগিয়ে আসেন। এতে কার্যকারিতা আরও দ্রুত হবে।”
তিনি আরও জানান, “জাতীয় পরিবেশ আদালতের রায় সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সঠিক ধারণা ছিল না। আমরা আজ সচেতন করলাম যদি সচেতনতায় প্রশাসনিক ভাবে এই বিষয়ে আরও আগে থেকেই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ছিল। কিন্তু চিনা নাইলন মাঞ্জা সুতো নিয়ে প্রশাসনিক সেভাবে উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলেই জানান তিনি। দ্রুত পুলিশ সক্রিয় হয়ে অবৈধ ব্যাবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করবেন বলেই আশাবাদী।”
রাকেশ মাইতি






