কাঁথির আদি আঠিলাগড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি এই শহরের অন্যতম পুজো। প্রায় চার দশক ধরে এই কমিটি দর্শনার্থীদের একের পর এক চমক উপহার দিয়ে আসছে। এবছর তারা পা দিল ৩৭ বছরে। দীর্ঘ পথচলায় প্রতিবারই নতুনত্বের ছোঁয়া থাকে এই পুজোয়।
advertisement
উদ্যোক্তাদের মতে, এ বছর শুধু বাহ্যিক সাজসজ্জার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সাধারণ মানুষকে মানসিক চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই বেছে নেওয়া হয়েছে এবারের থিম ‘উৎসব’। প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা বাজেটে তৈরি হয়েছে এই অভিনব মণ্ডপ। পুরো কাঠামো দাঁড় করানো হয়েছে লোহার ভিত্তির উপর। যেখানে শিল্পীদের সৃজনশীলতার ছোঁয়ায় ধরা দিয়েছে অনন্য নকশা। উদ্যোক্তাদের আশা, উৎসবের আবহে এই থিম মানুষের মনে আনন্দ ছড়াবে এবং দর্শনার্থীদের মন কিছুটা হলেও প্রশান্ত হবে। উদ্যোক্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, ‘মানুষ যদি কিছুটা মুহূর্তের জন্যও চাপ ভুলে আনন্দ খুঁজে পান, তাহলেই আমাদের এই প্রয়াস সফল হবে’।
কাঁথির আদি আঠিলাগড়ি সার্বজনীন দুর্গোৎসব
আরও পড়ুনঃ আর দিল্লি ছুটতে হবে না, বহরমপুরেই লোটাস টেম্পল! জলের উপর রঙিন আলোর খেলা, কমল দর্শনে জনজোয়ার
শুধু কাঁথিই নয়, সমুদ্র শহর দিঘাতেও পুজোর আমেজ জমে উঠেছে। দিঘা সার্বজনীন দুর্গা ও লক্ষ্মীপুজো কমিটি এ বছর ৭৯’তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এবার তাদের থিম ‘মায়াপুরের ইসকন’। সমুদ্রতীরের শহরে তৈরি হয়েছে একেবারে ভিন্ন মাত্রার সাজ। বিশাল বাজেটের (৩০ লক্ষ টাকা) এই মণ্ডপে থাকবে মায়াপুরের ইসকন মন্দিরের প্রতিরূপ। সমুদ্র স্নান সেরে জগন্নাথ মন্দির দর্শনের পরেই পর্যটকরা মায়াপুরের ইসকনের স্বাদ পাবেন এই মণ্ডপে। প্রতি বছর দিঘায় দুর্গাপুজো উপলক্ষে হাজারো পর্যটক ভিড় জমান। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সমুদ্রতীরের মনোরম পরিবেশ, আলো ঝলমলে সন্ধ্যা আর সাংস্কৃতিক আবহ মিলিয়ে পুজোর মরশুমে দিঘা যেন আলাদা প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সব মিলিয়ে বলা যায়, দিঘা থেকে কাঁথি, এগরা – উপকূলীয় এলাকা এখন পুজোর আনন্দে মতে উঠেছে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই জনারন্যের আমেজ, আলো আর সৃজনশীল মণ্ডপে উৎসবের উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। মণ্ডপে থিম ও নকশার অভিনবত্ব দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করেছে। সমুদ্রতীরবর্তী শহর দিঘা ও কাঁথি, এগরার পুজো শুধু দেবীর আরাধনার অনুষ্ঠান নয়, বরং মানুষের মিলন, আনন্দ এবং সংস্কৃতির এক জীবন্ত প্রদর্শনী হিসেবে প্রকাশ পাচ্ছে।