সেই মতো কাজও শুরু হয়ে গেছে দ্রুতগতিতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ঐকান্তিক উদ্যোগে হুগলি জেলার প্রাচীন ঐতিহ্যপূর্ণ মাহেশের (Mahesh) জগন্নাথ মন্দির (Jagannath Temple) ও অন্যান্য মন্দির সংলগ্ন জায়গাগুলির উন্নতিসাধনে পর্যটন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ২০১৭ সাল থেকে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে আসছেন।ইতিমধ্যেই ৬২৫ বছরের প্রাচীন মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের সংস্কারের কাজ প্রায় শেষের পথে। মূল মন্দিরসহ ভোগের ঘর ,প্রসাদের ঘর ,মন্দির সংলগ্ন অন্যান্য দেবদেবীর মন্দির সংস্কারের কাজ ইতিমধ্যে শেষ পর্যায়ে।
advertisement
আরও পড়ুন - Ind vs NZ: রাঁচিতে বাড়ছে করোনার গ্রাফ, নিয়ম মানলে তবেই T20-র টিকিট, ঠিক হয়ে গেল Ticket Price
ইতিমধ্যেই পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন স্বয়ং উপস্থিত হয়ে সরেজমিনে এই সংস্কারের কাজ খতিয়ে দেখেছেন। তারপর তিনি জেলাশাসক, বিধায়ক, ট্রাস্টি বোর্ডের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে এই বিষয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। এর ফলে এখানকার কাজ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে । যেটুকু বাকি আছে তা দ্রুত গতিতে হচ্ছে। তবে গত ১২ জুলাই এই ঐতিহাসিক জগন্নাথ মন্দির ভক্তদের উদ্দেশ্যে খুলে দেওয়া হয়েছিল। মন্দির সংলগ্ন জিটিরোডের ওপর সুদৃশ্য তোরণ তৈরির কাজও শেষের পথে।
আরও পড়ুন - Viral Dance Video: নয়া অবতারে সকলকে মুগ্ধ করলেন পিভি সিন্ধু, লেহেঙ্গা -চোলিতে ধামাল নাচ
শ্রীরামপুরের বিধায়ক জানিয়েছেন , মাহেশ থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির মন্দির সংস্কারের কাজ চলছে। মাহেশের গঙ্গার তীরে একটি মনোরম পার্ক তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মন্দিরের পার্শ্ববর্তী মাঠটিও সংস্কার করা হবে। এরই পাশাপাশি, জি টি রোডের দুধারে সৌন্দর্যায়নের কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান তিনি। করোনা আবহের মধ্যেও যথেষ্ট দ্রুততার সঙ্গে কাজ করা হয়েছে। মাত্র এক-দু শতাংশ কাজ বাকি আছে। যা কয়েকদিনের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন তাই করেন । এটা চালু হলেই সেটা বুঝতে পারবেন রাজ্যের মানুষ । মাহেশে পর্যটন দফতর তৈরি করছে ইকো ট্যুরিজম রিসোর্ট। এখানে থাকছে ৭টি কটেজ ও ডরমিটরি, পিকনিক স্পট ও লোকশিল্পীদের জন্যে অনুষ্ঠানের জায়গা।
মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মন্দিরের ভেতরের অংশ সংস্কার করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে গর্ভগৃহ, ভোগের ঘর সহ দেবতাদের মন্দির। রথযাত্রার দিন রথে চেপে জগন্নাথ, বলরাম, সুভ্রদা, মাসির বাড়ি যান। ওই মন্দিরও সংষ্কার হয়েছে। তবে জগন্নাথ মন্দিরে প্রস্তাবিত অতিথিশালার কাজ এখনও চলছে। প্রবেশদ্বার, স্নানপিড়ি মাঠের কাজ, স্নানমঞ্চ,দোলমঞ্চ সংষ্কার এবং সৌন্দর্যায়নের কাজ বাকি আছে। মন্দিরের সম্পাদক পিয়াল অধিকারী জানিয়েছেন, ওই সব কাজ যাতে দ্রুত সম্পন্ন হয় সেই অনুরোধ আমরা রাখব মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।
ABIR GHOSHAL