জানা গিয়েছে, আতসবাজি আর আলোয় ঘেরা দীপাবলির মরশুম। কালীপুজোর আগে ধনতেরস, ভূত চতুর্দশী। আর তার পরের দু’দিনে পালিত হয় কালীপুজো বা শ্যামাপুজো। বাঙালি মেতে ওঠে দীপাবলিতে। দেশ জুড়ে ভাইফোঁটা পর্যন্ত টানা পাঁচ দিনের এই উৎসবের মরশুমে মনের মতো করে বাড়ি সাজান প্রায় প্রত্যেকেই। আর তার একটা বড় উপকরণই হল আলো। টুনিবাল্ব বা হরেক রকম বিদ্যুতের আলো, মোমবাতি, নানা ডিজাইনের বাহারি প্রদীপ তো আছেই। তবে এখনও সাবেক মাটির প্রদীপে সেজে ওঠে বহু বাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গে ‘এই’ জায়গায় আবার জারি করা হল হাই অ্যালার্ট! তবে এবার বৃষ্টি নয়, অন্যকিছুর আশঙ্কা। কী জেনে নিন
তবে বর্তমান দিনে পরিশ্রম বেড়েছে। সেই তুলনায় রোজগার কমেছে। কিন্তু প্রযুক্তির ব্যবহারে উৎপাদন ক্ষমতা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কুমোরটুলিতে। আধুনিকতা বদলে দিয়েছে কুমোরদের কাজের ধরণ। একটা সময় ছিল, যখন হাতে চাকা ঘুরিয়ে মাটির বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করতে হত কুমোরদের। বিশাল বড় চাকা হাতে ঘোরাতে অনেক শক্তি প্রয়োজন ছিল। এমনকি নিয়মিত উৎপাদন করার ক্ষমতাও তেমন বেশি ছিল না কুমোরদের। কাজের মান তেমন একটা ভাল হত না। কিন্তু সেই ছবিটা এখন আমূল বদলে গিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কারিগররা জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক চাকার সাহায্যে খুব অল্প সময়েই বেশি পরিমাণ মাটির সামগ্রী তৈরি হচ্ছে। সেই তুলনায় খরচ কম। এতে শারীরিক শক্তিও কম লাগছে। কাজ করে অনেকটাই মজা পাচ্ছেন কুমোররা। এক মৃৎশিল্পী বলেন, এই যন্ত্রের সাহায্যে কাজ করতে আমাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। সময় কম লাগছে, উৎপাদন দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইলেকট্রিকের সাহায্যে চলছে এই চাকা। আমাদের পরিশ্রম কম হচ্ছে। এবছর মাটির প্রদীপ দ্বিগুণ তৈরি করা হবে গতবছরের তুলনায়। ফলে আর্থিক লাভবান হবেন বলেই আশাবাদী তাঁরা।