বন দফতরের তথ্য বলছে, মৎস্যজীবীদের জালে আটকে বা নদীতে বিষ প্রয়োগ করে চিংড়ি ধরার ফলে প্রায়শই মৃত্যু হচ্ছে গাঙ্গেয় শুশুকের। সেই মৃত্যু রুখতেই এবার সচেতনতাই অস্ত্র করে মাঠে নামল বন দফতর। পূর্ব বর্ধমান জেলার ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা বলেন, আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে কাটোয়া মহকুমাকে ঘিরে গ্যাঞ্জেটিক ডলফিনকে কেন্দ্র করে একটি সার্কিট ট্যুরিজম গড়ার। তবে তার আগে সকল মৎসজীবীকে সচেতন করার জন্য এই প্রোগ্রাম।
advertisement
আরও পড়ুন: এখানে হারিয়ে যায়নি ঝুলন, আজও আয়োজনে সামনে থাকে শিশুরা
বৃহস্পতিবার কাটোয়া পুরসভার সভাকক্ষে একটি সচেতনতামূলক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন প্রায় দেড়শো মৎস্যজীবী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন দফতরের ডিএফও সঞ্চিতা শর্মা, ডব্লিউডব্লিউএফ ইন্ডিয়ার বিজ্ঞানী মহম্মদ শাহনাওয়াজ খান, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার এবং কাটোয়ার এসডিও অহিংসা জৈন, কাটোয়ার পুরপ্রধান সমীর কুমার সাহা সহ অনেকেই। এই উদ্যোগ প্রসঙ্গে সমীর কুমার সাহা বলেন, কাটোয়া শহরে এমনিতেই বহু পর্যটক আসেন। এটা একটা ঐতিহ্যের শহর। তবে এই নতুন প্রকল্প বাস্তব রূপ পেলে শহরের নাম আরও ছড়িয়ে পড়বে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিজ্ঞানী মহম্মদ শাহনাওয়াজ খান এদিন সরাসরি মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। বোঝান কীভাবে জাল ও বিষ প্রয়োগের ফলে মারা যাচ্ছে ডলফিন। পাশাপাশি কীভাবে কিছু সহজ নিয়ম মানলে এই মৃত্যু রোখা সম্ভব সেটিও তুলে ধরা হয়। এদিন বন দফতরের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়, গাঙ্গেয় ডলফিন শুধু একটি প্রাণী নয়, এটি নদী ব্যবস্থার স্বাস্থ্য ও জীববৈচিত্র্যের গুরুত্বপূর্ণ সূচক। একে বাঁচানো মানে প্রকৃতিকে বাঁচানো। বন দফতর আশাবাদী, এই সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমে একদিকে যেমন রক্ষা পাবে শুশুক, তেমনই ভবিষ্যতে ডলফিনকে ঘিরে গড়ে উঠবে পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা।