আরও পড়ুন: চন্দ্রমল্লিকা ফুল নয়, গাছ বিক্রি করে মোটা টাকা আয় করুন
হাওড়ার দক্ষিণবাড়ি এলাকার অধিকাংশ মানুষ কৃষিকাজের পাশাপাশি কলকারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। কয়েক বছর আগে থেকে এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছতে শুরু করলেও খেলাধুলো ও সাংস্কৃতিক চর্চা সেভাবে হয়নি। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত এখানের ছেলেমেয়েরা গ্রামীণ কিছু প্রচলিত খেলার সঙ্গে পরিচিত ছিল। তবে তাইকোন্ড বলে যে কিছু আছে সেটাই অজানা ছিল এখানকার মানুষের। কিন্তু তাইকোন্ড প্রশিক্ষক সঞ্জু সিংয়ের হাত ধরে দ্রুত ছবিটা বদলে যায়।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সঞ্জু সিং তখন শহর থেকে গ্রামে ফিরে এসে নিজে জোর কদমে চালাচ্ছেন প্র্যাকটিস। সঞ্জুর খেলা দেখেই ছেলেমেয়েদের তাইকোন্ড শেখার ইচ্ছে জাগে। শুরুতে দু-একজন যুক্ত হয়। গত আট বছরে ক্রমশই তাইকোন্ড প্রশিক্ষণপ্রাপ্তের সংখ্যা বেড়েছে। এখানে সামান্য খরচেই তাইকোন্ডের প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়। এখন জাতীয় পর্যায় থেকে সাফল্য আসতে থাকায় খুশি সকলে। এই খেলা ঘিরে স্বপ্ন দেখছে গ্রামের মানুষ। তবে তাঁদের প্রধান অন্তরায় হল আর্থিক অসচ্ছলতা। এর ফলে ভিন রাজ্যের প্রতিযোগিতায় ছেলেমেয়েদের পাঠাতে গিয়ে দশবার ভাবতে হচ্ছে বাবা-মাকে।
রাকেশ মাইতি